নাটোর প্রতিনিধি:-
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ৩ নং জুনাইল ইউনিয়নে টিআর (ট্রান্সফার ফর রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার) ও কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) প্রকল্পে ভেকু (যান্ত্রিক খননযন্ত্র) ব্যবহারের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক সাহাবুল আলম হুমকি ও গালাগালির শিকার হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার (৫ মে) সকাল আনুমানিক ১১টা ৩০ মিনিটে, জুনাইল ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে। সাংবাদিক সাহাবুল আলম অভিযোগ করেন, তিনি প্রকল্পে ভেকু ব্যবহারের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য ইমরান হোসেন কালু তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করেন এবং মোবাইল কেড়ে নেওয়ার হুমকি দেন। যদিও মোবাইল কেড়ে নিতে পারেননি, তবে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক জানান, তিনি বিষয়টি বারবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহোদয়কে অবগত করলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ঘটনার পর তিনি বড়াইগ্রাম থানায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে: "প্রকল্প শ্রমের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে; যান্ত্রিক শক্তি ব্যবহার করা যাবে না।" এই ধরনের প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো দরিদ্র জনগণের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করা। কিন্তু ভেকুর মতো যন্ত্র ব্যবহার করে প্রকল্প বাস্তবায়ন সেই উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে।
এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং প্রকল্পে অনিয়ম বন্ধ ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
সরকারি প্রকল্পে অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে একজন সাংবাদিক হুমকির শিকার হওয়ায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্নবিদ্ধ। দ্রুত তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক সমাজ।