মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান গৃহযুদ্ধের ফলে সেখানে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে খাদ্যশস্যের চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। বিজিবিসহ দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এই বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘খাদ্যশস্য চোরাচালান প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারকরণ’ সংক্রান্ত সভায় খাদ্য উপদেষ্টা এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভা শেষে দুপুর ১টার দিকে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, "খাদ্য সংকট দেখা দিলে বাংলাদেশ থেকে কিছুটা চোরাচালানের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ইতিপূর্বে সার ও জ্বালানি তেল চোরাচালানের প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। তাই সীমান্ত নজরদারি আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে কোনো অবস্থাতেই খাদ্যশস্য চোরাচালান সম্ভব না হয়।"
বর্তমানে দেশে খাদ্যশস্যের সরকারি মজুদ ও আমদানি ব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে উল্লেখ করে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, "যদি বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে, তবে চালের যে সংকট দেখা দিয়েছিল, তা দ্রুত কেটে যাবে এবং বাজারে দামও সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। আসন্ন রমজানে চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।"
সভায় জেলা চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও এপিবিএন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে, যার মধ্যে ৫৪ কিলোমিটার জলসীমা অন্তর্ভুক্ত।