রাঙামাটিতে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের জেরে পরিস্থিতি এখনো অস্থির। যদিও ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে, তবুও অবরোধের কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে রয়েছে। দুই জেলার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ এবং রাঙামাটি শহরে যানবাহন চলাচল প্রায় নেই।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর), জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান এবং পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তারা ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ক্ষতি নিরূপণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারি উদ্যোগ নেওয়া হবে।
কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, অবরোধের কারণে কাঁচামালের বাজারে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অবরোধের কারণে কাঁচামাল পচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেক ভ্যালিতে প্রায় দেড় হাজার পর্যটক আটকে পড়েছেন। সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি পর্যটকদের থাকার খরচ ৫০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে।
সাপ্তাহিক কর্মদিবসে জনজীবন স্থবির থাকায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। যদিও গতকাল থেকে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, তবুও পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি।