হোসেন বাবলা (চট্টগ্রাম):-
চট্টগ্রামের পটিয়ায় পুলিশের সঙ্গে দুই দফা সংঘর্ষের পর মহাসড়ক অবরোধ ও থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ নেতাকর্মীরা। বুধবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে তারা পটিয়া থানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয়।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুলিশের হামলায় অন্তত ১৯ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
এদিন সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে, যার ফলে সড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে现场 ঘুরে দেখা গেছে, থানার সামনে প্রায় ৩০–৪০ জন আন্দোলনকারী অবস্থান নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন। অন্য একটি অংশ মহাসড়কে বসে বিক্ষোভ করছেন।
আন্দোলনের চট্টগ্রাম নগর শাখার মুখপাত্র ফাতেমা খানম বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু থানার সামনে পৌঁছাতেই পুলিশ বাধা দেয়। ধাক্কাধাক্কির সময় আমাদের এক কর্মী আহত হন।’
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা ও সাড়ে ১১টার দিকে পটিয়া থানা এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীদের দাবি, এসব সংঘর্ষে তাদের ১৫ জন আহত হন। অন্যদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, তাদের চার সদস্যও আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে, যখন আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, পটিয়ার শহীদ মিনার এলাকা থেকে ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ওই নেতার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় গ্রেপ্তার না দেখানোর দাবিতে থানার সামনে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফের আরেক দফা সংঘর্ষে জড়ায় উভয়পক্ষ। এ সময় থানা চত্বরে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ওই নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।