মুসলিম সভ্যতা ৭ম শতাব্দীতে আরবে ইসলামের আবির্ভাবের সাথে শুরু হয়েছিল। ইসলামী ধর্মগ্রন্থ কোরআন এবং নবী মুহাম্মদের সুন্নাহের উপর ভিত্তি করে মুসলিম সভ্যতা গড়ে উঠেছে।
মুসলিম সভ্যতার উৎপত্তি এবং বিকাশের প্রধান কারণগুলি হল:
মুসলিম সভ্যতা বিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্য, দর্শন এবং আইনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। মুসলিম বিজ্ঞানীরা চিকিৎসা, গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, রসায়ন, এবং পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। মুসলিম শিল্পীরা স্থাপত্য, চিত্রকলা, এবং কারুশিল্পে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। মুসলিম সাহিত্যিকরা কবিতা, উপন্যাস, এবং গল্পে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। মুসলিম দার্শনিকরা নীতিশাস্ত্র, নৈতিকতা, এবং ধর্মতত্ত্বে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। মুসলিম আইনবিদরা ইসলামী আইনের বিকাশে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
মুসলিম সভ্যতার স্বর্ণযুগ ছিল ৮ম থেকে ১৩শ শতাব্দী পর্যন্ত। এই সময়কালে মুসলিম বিশ্ব ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত এবং সমৃদ্ধ অঞ্চল। মুসলিম সভ্যতার এই স্বর্ণযুগকে মধ্যযুগীয় রেনেসাঁ নামেও পরিচিত।
মুসলিম সভ্যতার অবদান বিশ্বের অন্যান্য সভ্যতাকে প্রভাবিত করেছে। মুসলিম বিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্য, দর্শন এবং আইনের ধারণাগুলি ইউরোপীয় রেনেসাঁ এবং অন্যান্য সভ্যতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
মুসলিম সভ্যতা আজও বিশ্বের অনেক দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশ তাদের ঐতিহাসিক মুসলিম ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ এবং প্রচার করছে।