ঢাকা প্রেস
মোস্তাফিজুর রহমান,বিশেষ প্রতিনিধি:-
বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানা বি এন পিতে হাইব্রিড নেতাদের অনুপ্রবেশে ক্ষুব্ধ নিবেদিত কর্মীরা। ৫ অগাস্ট গণঅভূর্থানে আওয়ামীলীগের পতন হওয়ায় এ অনুপ্রবেশে দিন দিন দলের ভেতর হতাশা বিরাজ করছে। বিগত ১৬ বছরে মামলা হামলার শিকার কর্মীরা যেন ক্ষোভে ফেটে পড়ে জেলা কমিটি নেতাদের দোষারোপ করছেন অনেকে। তাদের নজরদারীর অভাবে এমন ঘটনা চাউর হতে চলছে। অনেক নেতা আওয়ামীলীগ আমলে চামচামিসহ সকল প্রকার সুবিধা ভোগ করছেন। দলীয় কর্মসূচিতে কখনও অংশগ্রহণ না করে আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন। এ সুবিধাভোগিদের মধ্যে অন্যতম কচুয়া থানার বারই খালী গ্রামের আব্দুল লতিফ সরদার এর ছেলে নাহিদ সরদার। কচুয়া সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা সরোয়ারের আপন ভাই আসলাম ও মাসুম এর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছেন। আওয়ামীলীগ পতন হলে নাহিদ সরদার নেতাকর্মীদের আশ্রয় -প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলছেন বিএনপি নিজ দলের নেতাকর্মীরা। আবার তিনি নেতা হওয়ার জন্য বিএনপির সামনের কাতারে অবস্থান নিচ্ছেন। আবার বিএনপির কোনো কোনো নেতাকে টাকার লোপ দেখিয়ে বিএনপিতে ফেরার চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন। বিএনপির এ তুঘলকি কান্ডে সাধারণ নেতাকর্মী হতাশ।
স্থানীয় সূত্র বলছে ,আব্দুল লতিফের ছেলে নাহিদ সরদার ২০০১ সালে রাজনীতিতে হাতে খড়ি। তার পিতা একজন স্কুল শিক্ষিক হলেও অঢেল সম্পদের মালিক। ২০০১ সালে তাঁর চাচা আতিয়ার সরদার ওয়ার্ডের বি এনপির সভাপতি ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি জামাতের রোকন। ২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা কান্ডের আঞ্চলিক হোতা নিমাই সেনের সঙ্গে মিশে এলাকায় হয়ে ওঠেন ত্রাস। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর হয়ে গেলেন পুরো আওয়ামীলীগ। বিতর্কিত উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা সরোয়ারের ভাইদের অনুকুলে চালান সরকারি অনুমোদন ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ২০২৪ সালের নির্বাচনের পড়ে তিনি আওয়ামীলীগের কুখ্যাত ডন বনে যান। এছাড়াও ৬ নং রাতীপাড় ইউনিয়ন যুবদল নেতা মুক্ত হত্যার অন্যতম আসামি মেহেদী হাসান বাবু (সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান) নাহিদ সরদারের গলায় একাধিকবার ফুলের মালা পড়িয়ে দেন। নাহিদের পড়িবারের একাধিক সদস্য আওয়ামীলীগের নেতা ও কর্মীসদস্য। ৫ অগাস্টের আগে কোনো মিছিল মিটিং বা সমাবেশে নাহিদ সরদারকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। তবে ৫ অগাস্টের পর বিএনপির গোল আলু মার্কা নেতা জাহিদ সরদারের ছত্রছায়ায় মোটা অংকের টাকার প্রলোভনে বড় মাপের নেতা হতে চলেছে নাহিদ। এ কারণে দলের ভেতরে ও বাইরে ক্ষোভের আগুন। এ কারণে বিএনপির মধ্যে অস্বস্তি বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচছুক এলাকার একাধিক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে ঢাকাপ্রেস ডটকম’কে বলেন , কচুয়া আওয়ামীলীগ নমিনেশন নিয়ে পাশ করা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবুর হাত দিয়ে নাহিদকে একাধিকবার ফুলের মালা পড়িয়েছন। তিনি আবার বিএনপি নেতা হতে মরিয়া।
একাধিক সূত্রের দাবি , এভাবে হাইব্রিড নেতাদের বিএনপিতে পদচারণার অনুপ্রবেশ ঠেকানো না হলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। এটা দলের জন্য অশ্বনি সংকেত। দলের ভেতর বিদ্বেষ বাড়তে থাকলে আমরা ভালো কর্মী হারাবো।
এসব অনিয়মের বিষয় জানতে নাহিদ সরদারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠালেও কোনো জবাব দেননি।