বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ঘোষণা দিয়েছে, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও উপাচার্য-প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ ছাড়া তারা ক্লাসে ফিরবেন না। এসব দাবিতে আজও তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন।
এর আগে সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ছাত্রনেতাদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির বৈঠকে রাতের মধ্যেই মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তারও আগে রোববার রাতে অনুষ্ঠিত আরেক বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জড়িতদের গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি, কাউকে আটকও করা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী থানার ওসি আবু কাওসার মাহমুদ হোসেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছিল। তবে চাইলে কোনো বিভাগ পরীক্ষা নিতে পারবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এখনো কোনো বিভাগ পরীক্ষা নেয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ মঙ্গলবার সকালে বলেন, ‘আমার জানা মতে কোনো বিভাগে পরীক্ষা হয়নি। কেউ আমাকে এ বিষয়ে জানায়নি।’ ক্লাসের বিষয়ে তিনি জানান, ‘আমি নিজে অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছি, তবে অন্য বিভাগের খবর আমার জানা নেই।’
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, সহপাঠীদের ওপর হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেন না। নিয়মতান্ত্রিকভাবে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ চবি শাখার আহ্বায়ক মুনতাসির মাহমুদ বলেন, ‘প্রশাসনের ব্যর্থতায় প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী হামলার শিকার হয়েছেন। এই ব্যর্থ প্রশাসন থাকলে কোনো ক্লাস-পরীক্ষা চলবে না। আমরা প্রশাসনের পদত্যাগ দাবি করছি।’
শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেছেন—
স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা ও বিচার নিশ্চিত করা,
নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় নারীবান্ধব বিশেষায়িত সেল গঠন,
আহতদের চিকিৎসা ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বহন করা, প্রয়োজনে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা,
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব গেট ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা।
গত শনিবার রাত ও রোববারের সংঘর্ষে অন্তত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এবং কয়েকজন গ্রামবাসী আহত হয়েছিলেন।