ঢাকা প্রেস
জিহাদ হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধি (নারায়ণগঞ্জ):-
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের পর পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের উপজেলা নেতা সুমন মিয়ার (২৮) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে আড়াইহাজার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের শ্রীনিবাসদী এলাকায়।
নিহত জিদনী আক্তার (২৩) গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, অভিযুক্ত সুমন মিয়া শ্রীনিবাসদী গ্রামের হান্নান মিয়ার ছেলে এবং নিহত জিদনী আক্তার বৈলারকান্দি গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার মেয়ে। দেড় বছর প্রেমের পর তাদের বিয়ে হয়। মাত্র দেড় মাস আগে তাদের একটি সন্তান জন্ম নেয়।
বিয়ের পর থেকেই সুমন মিয়া তার স্ত্রীর কাছে যৌতুকের দাবি জানাতেন এবং এ নিয়ে নির্যাতন করতেন। মঙ্গলবার রাতে ভিডিও কলে জিদনী তার পরিবারকে এসব নির্যাতনের কথা জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সুমন তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন বলে পরিবারের অভিযোগ।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত সুমন দাবি করেছেন, তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে আনা হয় এবং সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে।
নিহতের চাচা আহসান হাবিব জানান, সুমন বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ দিত এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। জিদনী তার পরিবারের সঙ্গে শেষবার কথা বলার সময় এসব নির্যাতনের কথা জানান। পরদিনই তাকে হত্যা করা হয়।
হাসপাতালে মরদেহ নিয়ে আসার পর উভয় পক্ষের স্বজনদের মধ্যে হাতাহাতি এবং সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও স্থানীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ করতে হয়।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত সুমন মিয়াকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে এবং অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার।