পোশাকে ঈদের আনন্দ

প্রকাশকালঃ ১৬ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ ৬৬৫ বার পঠিত
পোশাকে ঈদের আনন্দ

খনো কখনো পোশাক হয়ে ওঠে শিল্পীর ক্যানভাস। নানা বর্ণের ছটায় রঙিন হয়ে ওঠে পোশাকে। ঈদের পোশাকের রঙের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো রং নেই। যেহেতু ধরাবাঁধা কিছু নেই, তাই ডিজাইনাররা ইচ্ছেমতো রং নিয়ে কাজ করতে পারেন। পোশাকে ফ্যাশন ধারায় মূলত নিজস্ব সংস্কৃতিকেই তুলে ধরা হয়। ফ্যাশন ধারায় অনেক সময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনের অনুসারী যেমন হতে হয়, তেমনি ক্রেতার মনোভাবের ওপরও খানিকটা নির্ভর করতে হয়। তবেই সেই ধারা অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পায়।

পুরো ঈদের পোশাক বাজারটাই প্রায় বিদেশি পোশাকের দখলে ছিল, এখন সেই ধারায় পরিবর্তন এসেছে। দেশীয় বেশ কিছু ফ্যাশন হাউজ তরুণদের চাহিদামতো ফ্যাশনেবল পোশাক তৈরি করছে। ভালো মানের কাপড়ে আধুনিক ডিজাইনের এসব পোশাক ধীরে ধীরে বাইরের পোশাকের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমিয়ে দিচ্ছে।


ফ্যাশন নিয়েও ফ্যাশন হাউজগুলোর আয়োজনের কমতি নেই। পরিধেয় পোশাকের বাইরেই ঈদ আনন্দে নিজেকে পুরোপুরি শামিল করে নিতে বিভিন্ন রকমের ডিজাইনের পোশাক  হয়ে উঠেছে ঈদ ফ্যাশনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। ডিজাইনারদের সূচিকর্মের মুন্সিয়ানাতে থাকবে নিত্যনতুন ভাবনার বহিঃপ্রকাশ। ঈদে গতানুগতিক বাঙালিয়ানায় পোশাকি কারুকার্যে আনা হয়েছে গর্জিয়াস লুক।

কাজের ক্ষেত্রে নকশী, অ্যাপ্লিক, দড়ি, লেইস, বিডস, এমব্রয়ডারি, ওয়াশ, হ্যান্ডপেইন্ট, ব্লক, প্রিন্ট অর্থাৎ, মিশ্র মাধ্যম প্রাধান্য পেয়েছে। সফট সিল্ক, বলাকা সিল্ক, ক্রেপ সিল্কের ডিজাইন করা শাড়িতে বক্ল প্রিন্ট, এমব্রয়ডারি, টারসেল, কারচুপি ও সিকোয়েন্সের ব্যবহার সবসময় থাকে।

এখন শাড়ি পরার ক্ষেত্রেও এসেছে নতুনত্ব। আগের মতো শুধু ব্লাউজ দিয়ে শাড়ি পরে না অনেকেই, বিশেষ করে তরুণীরা ক্রপড টপ, শার্ট, টপ, টি-শার্টকে শাড়ির যুগলবন্দী করেছে। এতে একটা ট্রেন্ডি লুক যেমন এসেছে, তেমনি অবেগও প্রকাশ পায়।


ঈদকে কেন্দ্র করে ‘বিশ্বরঙ’র ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে বছর জুড়ে। চলতি ফ্যাশনধারা বা ব্যক্তির নিজস্ব ধারাকে তারা ভিন্নভাবে তুলে ধরে। স্বতন্ত্রতায় বিশ্বাসী বিশ্বরঙ ক্রেতা সাধারণের উৎসব আনন্দে অনন্য মাত্রা যোগ করার প্রয়াসে প্রতিবারের মতো এবারও নতুনত্ব ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে। উৎসবের রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নিতে এবারও বাহারি সব ঈদের পোশাক নিয়ে প্রস্তুত বিশ্বরঙ। সুদীর্ঘ ২৮ বছর ধরে নিত্যনতুন ট্রেন্ড নিয়ে ‘বিশ্বরঙ’ ঈদ আয়োজনের সাথে থাকছে পহেলা বৈশাখের পোশাক। বরাবরের মতোই দেশীয় কাপড়, উপকরণ ব্যবহার করে ‘বিশ্বরঙ’ এবারও পোশাকে ট্রেন্ডি এবং ট্রেডিশনাল লুকের নান্দনিক উপস্থাপনা করেছে।

বিশ্বরঙ দেশের আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে আরামদায়ক কাপড় যেমন সুতি, ধুপিয়ান সিল্ক, তসর সিল্ক, লিলেন কাতান, জ্যাকার্ড কাপড় ব্যবহার করেছে। রঙের ব্যবহারেও কনট্রাস্ট কালারের পাশাপাশি রঙের ম্যাচিউরড টোনের পরিমিত ব্যবহার লক্ষ্যণীয়।

কাজের মাধ্যম হিসাবে রয়েছে স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক, ডিজিটাল প্রিন্ট, মেশিন এমব্রয়ডারি, কম্পিউটার এমব্রয়ডারি, হ্যান্ড এমব্রয়ডারি, কারচুপি, নকশীকাঁথা জারদৌসী সহ মিশ্র মাধ্যমের নিজস্ব বিভিন্ন কৌশল। এবারের ঈদ আয়োজনে ‘বিশ্বরঙ’ প্রতিটি মানুষের জন্যই ভিন্ন কিছু যোগ করেছে। সব ধরনের উজ্জ্বল রঙের সাথে হালকা রঙের পোশাক তৈরি করেছে। অফ হোয়াইট, সাদা, লাল, মেরুন, রয়েল ব্লু, সবুজ, গোল্ডেন সহ সব রঙেই পরিমিতবোধ লক্ষ করা যায়।

এ ছাড়া শিশুদের জন্য এনেছে নান্দনিক সব কালেকশন। সেই সাথে প্রাপ্তবয়স্ক এবং নারীদের জন্য আছে ঐতিহ্য ও আভিজাত্যের ছোঁয়া। শিশুদের কালেকশনে রয়েছে পার্টি ফ্রক, কামিজ, সালোয়ার কামিজ, ঘাগরা-চোলি ও শার্ট। আর ছেলে শিশুদের জন্য পাঞ্জাবি, কাতুয়া, লং ও শর্টস্লিভ শার্ট। আরও থাকছে বাবা-ছেলের পাঞ্জাবি ও কাবলির মিনিমি।


বিশ্বরঙ’র কর্ণধার বিপ্লব সাহা বলেন, ‘ফ্যাশন সচেতন ব্যক্তিদের জন্য বিশ্বরঙ নিয়ে এসেছে নতুন সব ট্রেন্ডি ডিজাইন। বিশ্বরঙ ঈদের সাথে নবর্বষের আয়োজনে দেশীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে আন্তর্জাতিক চলের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে বাহারি নকশা ও বৈচিত্র্যময়তায় উপস্থাপন করেছে।

পোশাকের প্যাটার্নে এসেছে ভিন্নতা। পোশাকগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে ধুপিয়ান সিল্ক, জয় সিল্ক, তসর সিল্ক, সফট সিল্ক, কাতান, ভেলভেট ছাড়াও বিভিন্ন রকম অর্নামেন্টেড কাপড়। কাজের মাধ্যম হিসাবে এসেছে এম্ব্রয়ডারি, জারদৌসি, কারচুপি, কাটওয়ার্ক, স্ক্রিন প্রিন্ট সহ মিশ্র মাধ্যমের নিজস্ব বিভিন্ন কৌশল। বিশ্বরঙের শাড়িতে এসেছে বৈচিত্র্য তাঁতে বোনা কাপড়ের বুননেও আনা হয়েছে নতুনত্ব। তাঁতের বুননে তৈরি এক্সক্লুসিভ শাড়ির পাশাপাশি হাফসিল্ক, মসলিন, রেশমি কটন, ডুপিয়ানের শাড়িতে বিভিন্ন কাজ করা হয়েছে। আর সবকিছুর সঙ্গেই যুক্ত আছে বিশ্বরঙ’র বৈশিষ্ট্য উজ্জ্বল রংঙের সমাহার। দিনের বেলায় পরার জন্য হালকা রং আর রাতে অনুষ্ঠানের জন্য একটু জমকালো গাঢ় রঙে তৈরি করা হয়েছে শাড়িগুলো।’