বরগুনার আমতলীতে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন খামারি ও স্থানীয় গৃহস্থ পরিবারগুলো প্রায় আট হাজার ৭৮৯টি পশু প্রস্তুত করেছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্র জানা গেছে, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে আমতলী উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ছোট-বড় বিভিন্ন খামার ও গৃহস্থ পরিবারে প্রায় আট হাজার ৭৮৯টি পশু প্রস্তুত করেছে। এর মধ্যে ষাঁড় তিন হাজার ৭০৪ ও বলদ দুই হাজার ৮৬৯টি, গাভি ৮৩৫টি, মহিষ ১৫৬টি, ছাগল এক হাজার ৯৪টি ও ভেড়া ১৩১টি।
এ বছর উপজেলায় কোরবানি ঈদের জন্য পশুর চাহিদা ধরা হয়েছে সাত হাজার ৯৫০টি। উদ্বৃত্ত রয়েছে ৮৩৯টি পশু। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি পশুগুলো অন্য উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রির জন্য পাঠানো হবে।
জানা যায়, বিভিন্ন খামার ও গৃহস্থের বাড়িতে পালিত ষাঁড় গরুগুলো সবই দেশি জাতের। এ সকল পালিত পশুর খাদ্যের জোগান দিন দিন বাড়ানো হচ্ছে।
প্রতিবছর কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে খামারি ও গৃহস্থ মালিকরা গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত। পশু মোটাতাজাকরণে গমের ভূষি ছাড়াও ছোলা ও মসুর ভূষি খাওয়ানো হচ্ছে। এ বছর কোরবানিকে সামনে রেখে পশু লালন-পালনে খরচ অনেক বেশি পড়েছে।
অপরদিকে পশু কেনাবেচার জন্য আমতলী উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১১-১২টি স্থায়ী ও অস্থায়ী হাট-বাজার রয়েছে।
হাটগুলোর মধ্যে আমতলী উপজেলা সদরের গো-হাটটি বরিশাল বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বড়। এ ছাড়া উপজেলার গাজীপুর বন্দর গো-হাট, চুনাখালী গো-হাট, গুলিশাখালী গো-হাট, কলাগাছিয়া গো-হাট, বান্দ্রা গো-হাট ছাড়াও স্থানীয় ব্যাপারীরা এলাকায় গৃহস্থের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরু ক্রয় করে তা বিভিন্ন বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন।
আমতলীর সদর ইউনিয়নের সেকান্দারখালী (বান্দ্রা) এলাকার জিমি অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক আবুল বাশার নয়ন মৃধা বলেন, ‘কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে আমার ফার্মে ২০০টি দেশি জাতের ছোট, বড় ও মাঝারি সাইজের সুস্থ ষাঁড়কে এখন পুরোদমে খাদ্যের জোগান দেওয়া হচ্ছে।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতা ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, এ বছর কোরবানি ঈদে আমতলীতে কোনো পশুর ঘাটতি নেই। প্রায় সকল পশুই দেশি জাতের।