পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক; মুরাদনগরে ৮ শিশুকন্যাকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১২ মার্চ ২০২৫ ০৮:৩৮ অপরাহ্ণ   |   ৬৭ বার পঠিত
পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক; মুরাদনগরে ৮ শিশুকন্যাকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা প্রতিনিধি:-

 

 

 

মা-বাবার উপর হামলাঃ কেউ গ্রেফতার হয়নি....

কুমিল্লার মুরাদনগরে ৮, ৯,১০, ১২ ও ১৩ বছর বয়সী ৮ শিশু কন্যাকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক বখাটের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় এক শিশুর মা-বাবার উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। উপজেলার নবীপুর (পূর্ব) ইউনিয়নের নগরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। 

 

 

ঘটনাটি থানার ওসিকে অবহিত করলে তিনি মামলা নিতে অপরগতা প্রকাশ করে মিমাংসা হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে সেনা বাহিনীর দারস্থ হলে উপায়ন্তর না পেয়ে ওসি মামলা নিতে বাধ্য হয়। কিন্তু মামলার ৪দিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

 

সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, নগরপাড় (কলোনী পাড়া) গ্রামের মৃত খালেক মিয়ার ছেলে বখাটে জামির হোসেন (৪২) ১শ’ থেকে ৫শ’ টাকার লোভ দেখিয়ে ৮, ৯,১০, ১২ ও ১৩ বছর বয়সী ৮ শিশু কন্যাকে একেক সময় একজন করে চেয়ারম্যানের মাঠের কলা গাছের চিপায়, ভূমি অফিসের পূর্ব পাশে বাঁশের ঝাড়ের নীচে নিয়ে ও ৩ ভিক্টিমের খালি ঘরে বিকৃত ভাবে যৌন নিপীড়ন চালায়। বিষয়টি এক শিশুকন্যার অভিবাবক জানতে পেরে গত শুক্রবার বিকেলে অভিযুক্ত জামির হোসেনের বাড়িতে যায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ কালে জামির হোসেন, তার ভাই আমির হোসেন, নিশাত হোসেন, সাগর মিয়া, জামিরের স্ত্রী নাজমা আক্তার ও আমিরের স্ত্রী নাজমা আক্তার ক্ষীপ্ত হয়ে তাদের উপর অতর্কিতে হামলা করে। হামলায় আল-আমিন, তার স্ত্রী জোসনা বেগম ও লাকি আক্তার রক্তাক্ত জখম হয়। হামলার ঘটনায় আহতদের মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।

 

নির্যাতনের শিকার শিশুদের অভিবাবকরা জানায়, এ ঘটনার বিচার চেয়ে ওইদিন রাতেই মুরাদনগর থানায় যাই। তখন থানার ওসি জাহিদুর রহমান মামলা না নিয়ে মিমাংসা হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় এবং প্রকৃত ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালায়। নিরূপায় হয়ে ভিক্টিমের অভিভাবকরা শনিবার বিষয়টি দেবিদ্বার সেনা ক্যাম্পের ইনচার্জকে অবহিত করেন। তখন সেনা ক্যাম্পের ইনচার্জের সহায়তায় পরদিন রবিবার ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় তৈরী করা দায়সারা অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গন্য করেন ওসি।

 

এ দিকে খবর পেয়ে আসামীরা মামলা তুলে নিতে এলাকার মোড়ল শ্রেণির লোকজন দিয়ে বাদীকে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। ভয়ে আতংক ও উৎকন্ঠার মধ্যদিয়ে বাদী ও স্বাক্ষীরা দিনাতিপাত করছে বলে জানা গেছে। আসামীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। 

 

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, এক মেয়ের মা টিকটকার। যৌন নিপীড়নের ঘটনাগুলো মিথ্যা। একসাথে ৮টি মেয়ে যৌন নিপীড়নের শিকার কি ভাবে মিথ্যা হয়, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি দেখতেছি।