আড়াইশ’র আগেই থেমে গেল বাংলাদেশের ইনিংস

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৬ জুন ২০২৫ ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ   |   ২৯ বার পঠিত
আড়াইশ’র আগেই থেমে গেল বাংলাদেশের ইনিংস

স্পোর্টস ডেস্ক:-


 

কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ২৪৭ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। আগের দিন ২২০ রানে ৯ উইকেট হারানো দলটি সকালে মাত্র ৭.৩ ওভার টিকেছিল। দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন এবাদত হোসেন। শেষ ব্যাটার তাইজুল ইসলাম কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে ৩৩ রান করেন।
 

মিরাজের আক্রমণাত্মক ভঙ্গি, হতাশার পরিণতি

মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের বিদায়ের পর কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নাঈম হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে ৩১ রানে আউট হন মিরাজ। দলের রান তখন ১৯৭। কিছুক্ষণ পরই ব্যক্তিগত ২৫ রানে বিদায় নেন নাঈম। এতে করে দলের সংগ্রহ দুইশ’ পার করেই থেমে যায়।
 

আত্মঘাতী শটে ভরাডুবি মুশফিক-লিটনের

বাংলাদেশ ৭৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে এসে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেন মুশফিক ও লিটন। বল তখন বেশ পুরনো, উইকেটও খেলতে সহজ। এ অবস্থায় ৬৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তারা। কিন্তু হঠাৎ করেই লিটন আত্মঘাতী এক শটে আউট হন ৩৪ রানে। তার পরের ওভারেই সুইপ খেলতে গিয়ে মুশফিকও সাজঘরে ফেরেন, তিনিও করেন ৩৫ রান।
 

লাঞ্চের পরই সাদমান-শান্তর ‘ঘুম’

শুরুতে এনামুল হক বিজয় ও মুমিনুল হক ফিরে গেলেও ওপেনার সাদমান ইসলাম ছিলেন ধীরস্থির। তাকে সঙ্গ দিতে আসেন গল টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করা নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজন মিলে লাঞ্চে যান দলীয় দুই উইকেট হারিয়ে। কিন্তু বিরতির পরই হঠাৎ ছন্দপতন—মাত্র তিন রান যোগ করেই দুজনই আউট। সাদমান করেন ৪৬, শান্ত থামেন ৮ রানে।
 

আবারও শূন্যতে বিজয়

গল টেস্টে সেঞ্চুরির বন্যায়ও আলোচনায় ছিলেন এনামুল হক বিজয়—তবে নেতিবাচকভাবে। প্রথম ইনিংসে শূন্য, দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ। কলম্বোতেও একই পরিণতি। ১০ বল খেলে কোনো রান না করে বোল্ড হয়ে ফেরেন। এর আগে দুটি জীবন পেয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে প্লেড অন হন।
 

সোনালের অভিষেক, বাজিমাত করলেন শুরুতেই

শ্রীলঙ্কার পক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেন আসিথা ফার্নান্দো। ফিরে আসা বাঁহাতি পেসার বিশ্ব ফার্নান্দো পান ২ উইকেট। তবে দিনের নায়ক ছিলেন অভিষিক্ত সোনাল দিনুশা। নিজের প্রথম টেস্টেই ৩ উইকেট নেন—যার মধ্যে রয়েছে লিটন, মুশফিক এবং শেষে তাইজুলের মূল্যবান উইকেট। অর্থাৎ দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন উইকেটই তার শিকার।