জাতীয়করণের দাবিতে বন্ধের দিনেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

প্রকাশকালঃ ২২ জুলাই ২০২৩ ০৫:৪৪ অপরাহ্ণ ১৮৯ বার পঠিত
জাতীয়করণের দাবিতে বন্ধের দিনেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে রাজধানীতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে ছুটে আসছেন। দাবি আদায়ে বর্তমানে আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রধান চাওয়া 'প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৫ মিনিটের সাক্ষাৎ'। 

এই সাক্ষাতের মধ্য দিয়েই তাদের সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে জানান তারা। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) আয়োজনে ১১তম দিনের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষক বোরহান উদ্দিন বলেন, 'পালাক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি'র মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও শিক্ষাসচিবের সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের বৈঠক হয়েছে। সেখানে আমাদের দাবি বাস্তবায়নে ন্যূনতম কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি। আমাদের বৈষম্যমূলক বেতন-ভাতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করলে তিনি অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন। ফলে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ না করে বাড়ি ফিরব না।'


বিটিএ সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, 'শিক্ষক উপস্থিতি কম-বেশি বা একাধিক শিক্ষক সংগঠন থাকলেও সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষকের সবার প্রাণের দাবি জাতীয়করণ। এই লক্ষ্যে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৫ মিনিটের সাক্ষাৎ চেয়েছি। কর্মসূচির পাশাপাশি এই বৈঠকের জন্য আমরা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রেখেছি।

আমাদের দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক বলে আমরা মনে করি। এর আগে তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ একজন জাতীয় ক্রিকেটারের সমস্যার সমাধান করেছেন।' প্রতিদিনের মতোই শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শিক্ষকরা প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন। 

বেলা বাড়ার সঙ্গে শিক্ষকদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। এদিন শিক্ষক উপস্থিতি তুলনামূলক কম হলেও শিক্ষকদের অবস্থানের কারণে কদম ফোয়ারা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবমুখী একপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিগত দিনগুলোর মতোই শিক্ষকদের থেমে থেমে স্লোগান, বক্তৃতা ও অন্যান্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে দেখা যায়।