ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:-
ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানায় ভিকটিমের মাতার দায়েরকৃত এজাহার পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে,ভিকটিম ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানা এলাকায় একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসার আবাসিক রুমে থেকে পড়াশুনা করে। গত ০১ মার্চ ২০২৫ খ্রি.তারিখ রাত্রীবেলা ভিকটিম ঐ হাফিজিয়া মাদ্রাসার আবাসিকে অন্যান্য ছাত্রদের সাথে ঘুমিয়েছিলেন। ঐদিন রাত অনুমান ১২:৩০ ঘটিকায় আসামী মাহাদী হাসান (২১) ভিকটিমকে ঘুম থেকে ডেকে তার সাথে কথা আছে বলে তার রুমে নিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পায়ুপথে বলৎকার (ধর্ষণ) করেন। ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখানোর কারণে ভিকটিম ঘটনাটি গোপণ রাখে। ঘটনার পর গত ২৩ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. ভিকটিমের পায়ুপথে প্রচন্ড রক্তখরণ হলে বাদীনি তার ছেলে ভিকটিমের কাছে ঘটনার বিস্তারিত শুনে প্রথমে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখান থেকে রেফার্ড মূলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ঘটনায় ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৪, তারিখঃ ২৪/০৪/২০২৫ খ্রি. ধারা- ৯(১), নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, (সংশোধনী/২০২০)। মামলা রুজুর পর সিপিএসসি, র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করে।
এরই প্রেক্ষিতে, সিপিএসসি, র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ এর একটি আভিযানিক দল ২৮ জুন ২০২৫ খ্রি. রাত অনুমান ০১:৩০ ঘটিকায় ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ত্রিশাল থানার শিশু বলৎকার (ধর্ষণ) মামলার এজাহারনামীয় একমাত্র আসামী মাহাদী হাসান (২১), পিতা- শামছুল ইসলাম, সাং-দামিহা, থানা-তাড়াইল, জেলা-কিশোরগঞ্জ‘কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী‘কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।