তিনশ টাকার দিনমজুর থেরাপিস্ট পরিচয় প্রতারণা করে একাধিক বিয়ের অভিযোগ 

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ০২:১৯ অপরাহ্ণ   |   ১১৪ বার পঠিত
তিনশ টাকার দিনমজুর থেরাপিস্ট পরিচয় প্রতারণা করে একাধিক বিয়ের অভিযোগ 

নিজস্ব প্রতিবেদক :



*বিয়ের আগে স্ত্রীদের অনৈতিক ভিডিও ধারণ করে ব্লাক মেইল.....

দৈনিক তিন'শ টাকার হাজিরায় কৃষি খেতে কাজকরা সাম্প্রতিক থেরাপিতে পিএইচডি করা ডাঃ পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ মোস্তফা সরদার তপন এর বিরুদ্ধে। ডাক্তার পরিচয় দিয়ে একাধিক নারীর সঙ্গে ব্ল্যাকমেল করে বিয়েও করেছেন। বিয়ের পর টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে নিঃস্ব করে আবার দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগ তুলেছেন ওইসব নারী। এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে পাবনা সদরের ধোপড়াকোলা গ্রামের বিল্লাল সরদারের প্রতারক ছেলে মোস্তফা সরদার তপন। অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা মুস্তফা অন্যের কৃষি জমিতে ৩০০ টাকা হাজিরা কাজ করতেন বলে জানা গেছে। তিনি ছোটবেলা থেকে প্রতারণার আশ্রয় চাকরির নামে একাধিক লোকের নিকট থেকে নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়ে খুলনায় পালিয়ে যান। কিছুদিন থাকার পর কুষ্টিয়া চলে যান ওখান থেকে ঢাকা বনশ্রী তে আশ্রয় নেন শুরু হয় তার প্রতারক বাণিজ্য। 

জানা গেছে প্রতারক মোস্তফা দুই সন্তানের জনক স্ত্রী রুনা আক্তার কে পাবনায় রেখে খুলনায় চলে যান সেখানে হিন্দু পরিচয় তপন নাম দিয়ে এক এনজিও কর্মী হিন্দু নারীকে বিয়ে করেন। ওই নারীর সাথে ও ব্ল্যাকমেইল করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে কুষ্টিয়ায় চলে যান। কুষ্টিয়ায় গিয়ে এক নারীর সাথে সখ্যতা করে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে তাকে বিয়েও করেন। ওই নারীর টাকা পয়সা হাতে নিয়ে ঢাকায় চলে যান। ঢাকায় এসে থেরাপিতে পিএইচডি পরিচয় দিয়ে প্রতারণা শুরু করেন। ওই পিএইচডি ডিগ্রির সুবাদে ৭৪- বি মহাখালী লাইফ লাইন থেরাপি সেন্টার চালু করেন। এ থেরাপীর নাম দিয়ে রাজধানীর বনশ্রীর ফেরদৌসী নামের এক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে ব্ল্যাকমেল করে বিয়ে করেন। আবার থেরাপিতে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক নারীর সাথে প্রেমের অভিনয় করে শারীরিক সম্পর্কের জড়ানোর অভিযোগে ধানমন্ডির শাহনাজ পারভীনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পর শাহানাজের টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে পথে বসিয়ে দেন।

সর্বশেষ সিত্তুল মুনা নামে এক বিবাহিত নারীর সঙ্গে পরিচয় হয়। লন্ডন থেকে থেরাপিতে পিএইচডি করে ডাক্তার পরিচয় আশ্বস্ত করেন। এবং তিনি একজন হিন্দু নাম তপন পরিচয় দেয়। শুরু হয় মুনার সঙ্গে নতুন প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমে জড়িয়ে মুনার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে ভিডিও ধারণ করে রাখে। মোস্তফা সরদার তপনের কথার অবাধ্য হলে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ভয়-ভীতি দেখাতে শুরু করে। পরে মুনাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসাতে বাধ্য করে। এখন মোস্তফা তপন ও মুনা দম্পতি উভয় দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন। এছাড়াও ব্ল্যাকমেল করে বিয়ে করা নারীদেরকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে প্রত্যেক কে দেহব্যবসায় বাধ্য করেছেন লম্পট ভূয়া থেরাপিস্ট মোস্তফা সরদার তপন। রাজধানীর বনশ্রীসহ বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নেন এবং বাসার ভেতরে থেরাপি সেন্টার খুলতেন। বনশ্রী, আগারগাঁও ,বাবর রোড, চিড়িয়াখানা রোড , সর্বশেষ এসপি রোড মুনা ও মোস্তফা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। এসব বাসা ভাড়া নিয়ে ফিজিওথেরাপির আড়ালে দেহ ব্যবসা চালাতেন। পরে বড়বাগ ৬২/৬৩ মিরপুর -২ থেরাপির আড়ালে পরকীয়া প্রতারক স্বামী-মুনা মোস্তফা মিলে একইভাবে দেহব্যবসা চালিয়ে আসছে।

উল্লেখ্য যে ওই প্রতারক মোস্তফা সরদার তপন প্রত্যেক নারীর সঙ্গে মিথ্যা অভিনয় করে সম্পর্ক করেছেন পরে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে জিম্মি করে বিয়ে তারপর দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে ইজ্জত নষ্ট করেছেন। এ তালিকায় কেউ প্রবাসীর স্ত্রী ,আবার কেউ চিকিৎসক, চিকিৎসা নিতে আসা , আবার কেউ চাকরিজীবী ছিলেন। পুরুষদের সাথেও ব্লাকমেইল করছেন। কেউ অবাধ্য হলে ভিডিও ফুটেজের ভয় দেখিয়ে সবাইকে জিম্মি করে রাখতেন।