কুমারখালীতে ঐতিহ্যবাহী মেলাকে কেন্দ্র করে জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ১১

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২১ মে ২০২৫ ০৩:১৭ অপরাহ্ণ   |   ৮২ বার পঠিত
কুমারখালীতে ঐতিহ্যবাহী মেলাকে কেন্দ্র করে জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ১১

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি:-

 

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা চাপাইগাছি বাজারে শতবর্ষী গাজি-কালু-চম্পাবতী মেলাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জামায়াত ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।
 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো এই মেলা প্রতিবছর আয়োজন করা হয়। তবে এবছর মেলায় অশ্লীলতা ও জুয়ার অভিযোগ তুলে জামায়াত মেলা বন্ধের দাবি তোলে। অন্যদিকে, প্রশাসনের অনুমতি না থাকলেও বিএনপি-সমর্থিত মেলা কমিটি মেলার আয়োজন করে। বিকেল থেকে শুরু হওয়া উত্তেজনা সন্ধ্যায় সংঘর্ষে রূপ নেয়, শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ।
 

আহতদের মধ্যে জামায়াতের পক্ষে রয়েছেন জগন্নাথপুর ইউনিয়ন উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানসহ ৫ জন, যাদের কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বিএনপিপন্থীদের মধ্যে খোকসা কলেজের প্রভাষক সরাফাত সুলতানসহ ৫ জন কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
 

বাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সংঘর্ষ চলাকালে জামায়াত-শিবিরের শতাধিক কর্মী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অন্তত ৩০টি দোকানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এক ব্যবসায়ী আরজ আলী জানিয়েছেন, তার প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
 

সংঘর্ষের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে টুপি পরা শতাধিক লোককে দেশীয় অস্ত্র হাতে হুমকির ভঙ্গিতে ঘুরতে দেখা যায়।
 

ঘটনার পর জামায়াত নেতারা অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে মেলার বিরোধিতা করছিলেন, কিন্তু প্রতিপক্ষ তাদের ওপর হামলা চালায়। অন্যদিকে বিএনপি নেতারা পাল্টা অভিযোগ এনে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
 

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ জানান, মেলার অনুমতি না থাকায় আইনি জটিলতা তৈরি হয়। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।