 
                            
মেগ লাইফ সায়েন্সেস কোম্পানির তৈরি সব ওষুধ খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্য সরকার। এমপড ২০০, মেক্সক্ল্যাব ৬২৫ ও সেফোজিম-সিভি নামক তিনটি ওষুধে শুধু চক পাওয়াডারের গুড়া পাওয়ার পর এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির। তেলেঙ্গানা রাজ্যের ড্রাগস কন্ট্রোল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে (ডিসিএ), ওই তিনটি ওষুধে কোনো সক্রিয় উপাদান (ঔষধ) নেই। তিনটিতেই শুধু চক পাউডার ও স্টার্চ পাওয়া গেছে যা ভোক্তাদের উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ। 
 
মঙ্গলবার জারি করা একটি বিবৃতিতে ডিসিএ জানিয়েছে, মেগ লাইফ সায়েন্স নামক কোম্পানিটি হিমাচল প্রদেশের সিরমাউর জেলায় অবস্থিত বলে দাবি করা হয়েছে। তবে বাস্তবের এর কোনো অস্তিত্ব নেই বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
গুরুতর অবস্থার কথা বিবেচনা করে এই কোম্পানির তৈরি সব ওষুধকে নকল বলে সতর্ক করেছে তেলঙ্গানার ড্রাগস কন্ট্রোল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। পাশাপাশি এই কোম্পানির সব ওষুধ ব্যবহার বন্ধ করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ডিসিএ আরও বলেছে, খুচরা বিক্রেতা ও পাইকারী বিক্রেতাদের ‘মেগ লাইফসায়েন্সেস’-এর লেবেলযুক্ত যে কোনো ওষুধের বিক্রয় ও বিতরণ বন্ধ করতে এবং অবিলম্বে এলাকার ড্রাগস ইন্সপেক্টরকে অবহিত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই কোম্পানির ওষুধ জনসাধারণকে বিতরণ সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য রিপোর্ট করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
ভারতের বাজারে নকল ওষুধ বিক্রির ঘটনা এটিই প্রথম নয়। গত সপ্তাহে উত্তরাখণ্ডেও এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গত মাসে ভারতের মহারাষ্ট্রের ওষুধ কর্মকর্তারা নাগপুরের একটি সরকারি হাসপাতাল থেকে ২১ হাজারের বেশি অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করেছে। ওষুধটি বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়৷
কোটি রুপি মূল্যের জাল ট্যাবলেটগুলো বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়েছিল।জানুয়ারিতেও দিল্লির সরকারি হাসপাতাল ও মহল্লা ক্লিনিকগুলোতে জাল বা নিম্নমানের ওষুধ বিতরণের অভিযোগ ছিল।
তার এক মাস আগে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ শহরের গুলাবিবাগ এলাকায় একটি জাল ওষুধ তৈরির কারখানা ভেঙে দেয় ও মালিককে গ্রেপ্তার করে। গত বছরের আগস্টে কলকাতার ওষুধ কর্মকর্তারা ২ কোটি রুপির জাল ওষুধ জব্দ করেছেন। এগুলো ছিল দেশেটির শীর্ষস্থানীয় ফার্মা সংস্থাগুলোর তৈরি।
 
                                                
                                                 
                                                
                                                 
                                                
                                                