বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার গোদনাইলে শহীদ জুলাই যোদ্ধা গাজী সালাউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই মন্তব্য করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি জানান, এই মাসের ১৫ তার মধ্যে দলের প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আহ্বায়ক বলেন, ‘‘আমরা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করছি — এককভাবে নির্বাচন করা আমাদের টার্গেট। ৩০০ আসনেই প্রার্থী দাঁড় করাব। তবে যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন — যেমন খালেদা জিয়ার কথা নাসিরুদ্দিন ভাই উল্লেখ করেছেন — তাদের সম্মানের স্বার্থে আমরা সেসব আসনে নিজস্ব প্রার্থী দেব না। বাকী সব আসনে আমরা শাপলা কলির প্রার্থী দেব।’’
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশের নির্বাচনসংস্কৃতিকে বদলাতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টাকার زور দিয়ে গডফাদার সংস্কৃতি, এলাকায় লেনদেন-ভিত্তিক কোষাগার আমরা চ্যালেঞ্জ করতে চাই। স্থানীয় জনগণের যারা গ্রহণযোগ্য ও পর্দাপাছা নয় — তাদের আমরা সংসদে দেখতে চাই।’’
গাজী সালাউদ্দিনের মৃত্যু নিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘জুলাই যোদ্ধাদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের — কিন্তু তা পূর্ণভাবে পালন করা হয়নি, ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, আমাদের শহীদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। যারা গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়েছেন, এখনও যাঁদের শরীরে সমস্যা আছে, তাদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। সরকার যদি তা নিশ্চিত না করে, এ ধরনের ঘটনা চলতেই থাকবে।’’
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জুলাই আহত ও শহীদদের কথা ভুলে না যাওয়ার গুরুত্বেও জোর দেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘‘পরবর্তী যে কোনো নির্বাচিত সরকারই হোক না কেন, আমাদের এই কমিটমেন্ট অটুট থাকতে হবে। আমরা গাজী সালাউদ্দিন পরিবারের পাশে আছি এবং সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি—তারা যেন তাদের দায়িত্ব নেয়। মৃত্যুর কিছু দিন আগে তিনি একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীদের দ্বারা হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন—এটিও তদন্ত হওয়া উচিত; বিষয়টি থানায়ও গিয়েছে বলে শুনেছি।’’
তিনি আরো সতর্ক করেন যে, সারাদেশের জুলাই যোদ্ধাদের রাজনৈতিক নিরাপত্তার সংকট রয়েছে এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি তাদের পাশে থাকবে। ‘‘তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করে একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি—এই নতুন বাংলাদেশ কোনো ফ্যাসিবাদীর জায়গা হবে না,’’ যোগ করেন নাহিদ ইসলাম।