প্রকাশকালঃ
২২ জুলাই ২০২৩ ১২:৫৫ অপরাহ্ণ ৩১৯ বার পঠিত
কিশোরগঞ্জের নিকলীর বেড়িবাঁধ থেকে চোখে পড়ে শুধু দিগন্ত ছোঁয়া জলরাশি। হাওরের জলরাশি আর সাদা মেঘ মিলে এক অপূর্ব সৌন্দর্য। বর্ষার এ সময়টায় হাওরে নৌকায় বসে দুপুরে রোদের ঝিলিক আর নীল আকাশে দলছুট সাদা মেঘের ওড়াওড়ি মুগ্ধ করে সবাইকে।
সরেজমিনে হাওর ঘুরে দেখা গেছে,উপজেলার বিস্তীর্ণ হাওর এলাকা এখন বর্ষার পানিতে টইটম্বুর। যতোদূর চোখ যায় পানি আর পানি, আর মাথার ওপরে আকাশে নীলের ভিড়ে সাদা মেঘের ভেলা। বিস্তীর্ণ হাওরে কোথাও কোথাও কিছু বসতি, দূর থেকে দেখলে মনে হয় কোনো দ্বীপ। এসব বসতিতে বসবাসকারী মানুষের বর্ষার পুরোটা সময় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হয়ে ওঠে নৌকা বা ইঞ্জিনচালিত ট্রলার।
বর্ষায় বিশেষ করে হাওরের সৌন্দর্য এখানকার বাসিন্দাদের তেমন আলোড়িত করে না। তবে এসময়টায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাওরে ছুটে আসেন কয়েক হাজার প্রকৃতিপ্রেমী। ভরা বর্ষায় হাওরের ভরদুপুরের সৌন্দর্যও দেখার মতো। মাঝে-মধ্যেই মৃদু বাতাসে হাওরের পানিতে ছোট ছোট ঢেউ খেলা করে। বয়ে যায় হালকা শীতল হাওয়া। এর টানেই ছুটে আসেন পর্যটকরা। ঘুরে বেড়ান হাওরের বুকে, দ্বীপসদৃশ লোকালয়ে।
এ ব্যাপারে নিকলী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রীতি লতা বর্মন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা পারভিন জানান, হাওর বাংলাদেশের নাভিমূল। হাওরের আকাশ, বাতাস, প্রকৃতিই হলো বাংলাদেশ। হাওরকে না দেখলে বাংলাকে চেনা যাবে না।