“জুলাই হত্যাকারীদের সমর্থকেরা এখনও বিভিন্ন খাতে সক্রিয়” — পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৯ জুলাই ২০২৫ ০২:০৪ অপরাহ্ণ   |   ৩০ বার পঠিত
“জুলাই হত্যাকারীদের সমর্থকেরা এখনও বিভিন্ন খাতে সক্রিয়” — পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সমর্থকরা এখনও দেশের বিভিন্ন খাতে সক্রিয়। না হলে এত বড় হত্যাকাণ্ডের মূল হোতারা সহজে দেশ ছেড়ে পালাতে পারত না।’ তিনি মনে করেন, কেবল হত্যাকারী নয়, এই ঘটনার নির্দেশদাতারাও কীভাবে বিদেশে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলো— সেটিও বিচারের আওতায় আনা উচিত।
 

মঙ্গলবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত “জুলাই গণহত্যার বিচার : আলোচনা ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন” শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
 

রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, অভিযুক্তদের অনুপস্থিতিতে বিচার চললেও, তারা প্রকৃত অর্থে বিচারের মুখোমুখি হবে না— এটি জাতির জন্য দুঃখজনক। ট্রাইব্যুনালের রায়ে কিছু ব্যক্তির সাজা হলেও, অনেকেই শাস্তির আওতার বাইরে থেকে যাবে। তাই এ ধরনের বিচারব্যবস্থার কাঠামো ও এর ফলাফল নিয়েও ভাবার সময় এসেছে।
 

তিনি বলেন, “রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে যদি সত্যিকার পরিবর্তন না আসে, তাহলে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো পরিবর্তন সম্ভব নয়। জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান জানাই রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি।”
 

অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, জুলাই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতাদের বড় একটি অংশের বিচার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ হবে ৩ আগস্ট।
 

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের। এ সময় জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ এবং মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
 

আয়োজনে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’র অংশ হিসেবে “ট্রায়াল অব জুলাই কার্নেজ” শীর্ষক একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়। এ আয়োজনের উদ্যোগ নেয় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।