দিনের দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মহাসড়কের দুই লেন বন্ধ করে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি শুরু করেন। পরবর্তীতে ২টা ৫ মিনিটে অবরোধ তুলে নিয়ে ২টা ২৫ মিনিটে পুনরায় অবরোধে ফিরে আসেন। আবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ১০ মিনিটের বিরতি দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান। তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবার যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন—
“আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম”,
“দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ”,
“আমার ভাইকে মারলো কেনো, প্রশাসন জবাব চাই।”
অবরোধের কারণে ভোগান্তিতে পড়া পথচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নবীনগরের বাসিন্দা আলহাজ্ব সাবেরুল আলম বলেন,
“প্রায়ই এভাবে রাস্তা আটকে রাখা হয়। সাধারণ মানুষ যেন কিছুই না! ইচ্ছা হলেই মহাসড়ক বন্ধ করে দেয়। এভাবে দেশ চলতে পারে না।”
আরেক পথচারী খুরশিদা জাহান বলেন,
“বাচ্চা নিয়ে জ্যামে বসে আছি। হাঁটারও সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি মানুষের কষ্ট না বোঝে, তাহলে আমরা কোথায় যাব?”
জার্নালিজম বিভাগের ৪৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থী হারুন উর রশিদ বলেন,
“আসিফ-মাহফুজরা আমাদের সঙ্গে বেঈমানি করেছে। ২৪ জুলাইয়ের আন্দোলনে আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে তারা আজ ক্ষমতায়। এখন আমাদের বিরোধিতা করার সাহস কোথা থেকে আসে? এজন্য আমরা তাদের ছবি পুড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বয়কট ঘোষণা করেছি। আমাদের ভাইরা আজ আহত, এর বিচার চাই। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাস্তায় থাকবো।”