পিলখানা হত্যাকাণ্ড: সেনাপ্রধানের স্পষ্ট বার্তা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:৪৭ অপরাহ্ণ   |   ১২৬ বার পঠিত
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: সেনাপ্রধানের স্পষ্ট বার্তা

ঢাকা প্রেস নিউজ

 

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘এই বর্বরতা কোনো সেনাসদস্য করেনি। এটি সম্পূর্ণভাবে তদানীন্তন বিডিআর সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে। এখানে কোনো ‘যদি’ বা ‘কিন্তু’ নেই। বিচারিক কার্যক্রম দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর ধরে পরিচালিত হয়েছে। যারা শাস্তি পেয়েছে, তারা শাস্তির যোগ্য। এ বিচারিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা উচিত নয়।’
 

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবের হেলমেট হলে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ২০০৯ সালে পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডে শাহাদতবরণকারী সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
 

একটি হৃদয়বিদারক দিন স্মরণসভায় সেনাপ্রধান বলেন, ‘আজকের দিনটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আমরা ৫৭ জন চৌকস সেনা অফিসারকে হারিয়েছি। তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও এই বর্বরতার শিকার হয়েছেন। আমি নিজেই এই ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী। যারা ছবিতে দেখেছেন, তারা হয়তো কিছুটা অনুমান করতে পারেন, কিন্তু আমি এই বর্বরতার স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছি।’
 

বিচারিক তদন্ত ও কমিশনের ভূমিকা তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বা বাইরের কোনো শক্তি জড়িত ছিল কি না, তা তদন্তের জন্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান উপস্থিত আছেন, তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন।’
 

সতর্কবার্তা সেনাপ্রধান সতর্ক করে বলেন, ‘আমরা নিজেরা যদি বিভক্ত হয়ে পড়ি, একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করি, তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। আমি আজ স্পষ্টভাবে বলে দিচ্ছি, যাতে ভবিষ্যতে কেউ বলতে না পারে যে আমি সতর্ক করিনি। আমার একমাত্র লক্ষ্য হলো দেশ ও জাতিকে একটি সুন্দর অবস্থায় রেখে দায়িত্ব শেষ করা।’
 

তিনি আরও বলেন, ‘গত সাত-আট মাসে আমি যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য সেনাবাহিনীকে তার যথাযথ স্থানে ফিরিয়ে নেওয়া এবং দেশ ও জাতির উন্নয়ন নিশ্চিত করা।’