ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে হঠাৎ করেই যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। এর সঙ্গে পদ্মা নদীর তীব্র স্রোত ও ঘাট সংকট যুক্ত হয়ে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে যানজট। ফেরিতে উঠতে পণ্যবাহী ট্রাককে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা, আর যাত্রীবাহী বাসকে আড়াই থেকে ৩ ঘণ্টা।
মঙ্গলবার দুপুরে দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি। পাশাপাশি দেড় কিলোমিটারজুড়ে আটকে আছে যাত্রীবাহী বাস। যদিও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করানো হচ্ছে।
বোয়ালমারী থেকে পাট বোঝাই করে ঘাটে আটকে থাকা ট্রাকচালক মো. মন্টু মিয়া বলেন, সোমবার রাত ১২টার দিকে ঘাটে এসেও এখনো ফেরির সিরিয়াল পাননি। কবে নাগাল পাবেন, তাও অনিশ্চিত। অপরদিকে ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের যাত্রী জহুরুল ইসলাম জানান, দুপুর ১২টার পর থেকে আড়াই ঘণ্টার বেশি অপেক্ষা করেও ফেরির দেখা মেলেনি। তার সঙ্গে বাসে ছিলেন অসুস্থ রোগী ও বিদেশগামী যাত্রী। অনেকে বাধ্য হয়ে বিকল্প পথে গন্তব্যে ছুটছেন।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, দৌলতদিয়ার ৭টি ফেরিঘাটের মধ্যে চারটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। সম্প্রতি পলি জমে ৭ নম্বর ঘাট ও তীব্র স্রোতে আঘাত পেয়ে ৩ নম্বর ঘাটও অচল হয়ে যায়। বর্তমানে কেবল একটি ঘাট সচল আছে। ফলে ফেরি লোড-আনলোড ব্যাহত হচ্ছে এবং প্রতিটি ট্রিপে সময় লাগছে দ্বিগুণ।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. আলিম দাইয়ান বলেন, সচল দুটি ঘাটের মধ্যে একটি চালু রয়েছে। বিকল ঘাটের মেরামত চলছে, শিগগিরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জানান, ফরিদপুরে আন্দোলনের কারণে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এর সঙ্গে ঘাট সংকট ও নদীর স্রোত মিলিয়ে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বর্তমানে এ নৌরুটে ১০টি ফেরি চালু আছে।