প্রকাশকালঃ
২৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৩:২৫ অপরাহ্ণ ১৭৫ বার পঠিত
বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত
যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকার কারণে বান্দরবানের ৩ উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ৮ মে এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। এই ৩ উপজেলা হচ্ছে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি। পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে এই তিন উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি আরও জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে অধিকসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।
প্রতিটি উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে। ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম জানান, বান্দরবানের তিন উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযান চলায় নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই তিন উপজেলার নির্বাচন আপাতত স্থগিত করা হলেও পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইসি সচিব জানান, ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিব ও দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় বসেছিলেন নির্বাচন কমিশন। সভার মূল বিষয় ছিল যার যেটা করণীয় সেটা সবাই সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যেন যতœ সহকারে করেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অধিকসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।
উপজেলা ভেদে দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে। ইসি সচিব বলেন, যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনী ও জনপ্রশাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন তারা যাতে এই নির্বাচনটা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে আরও সুন্দর ও সার্থকভাবে আয়োজন করেন, এইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সব সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তের মধ্যে আমরা মূলত যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করে থাকি, এই নির্বাচনে তার চেয়ে অধিক পরিমাণে মোতায়েনের প্রচেষ্টা করা হবে। ইসি সচিব বলেন, যেহেতু উপজেলা নির্বাচন চার ধাপে সম্পন্ন হবে, জেলা পর্যায়ে যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও জনপ্রশাসনের সদস্য রয়েছে, তারা ওখানে ধাপে ধাপে দায়িত্ব পালন করবে। তারা বলেছেন, তাদের জনবলের ঘাটতি হবে না।
উপজেলাভিত্তিক বিজিবি মোতায়েন করা হবে। উপজেলা ভেদে দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। জনবলের সংখ্যা উপজেলাভিত্তিক বাড়িয়ে দেওয়া হবে। একটি বড় দল আসবে না, এর প্রভাব ভোটে থাকবে কি-না এমন এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, আমাদের যে গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে, তারা যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে নির্বাচনে কোনো ধরনের সহিংসতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেনি। তবে দলীয় প্রতীক ছাড়া অনেক দল অংশ নিয়েছেন তাই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।
একই দলের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। ইসি সচিব বলেন, যেসব দল নির্বাচন বর্জন করেছে তাদেরও কিছু কিছু অনুসারীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তাই কমিশন আশা করে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন থেকে শুরু করে সব কার্যক্রম নেওয়া হবে যাতে নির্বাচনে ভোটাররা নির্বিঘেœ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তার পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে সুষ্ঠুভাবে বাড়ি যেতে পারেন, যাতে নির্বাচনে তাদের মতামত প্রতিফলিত হয়।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, আইনিভাবে যার ভোটে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা রয়েছে তিনি ভোটে অংশ নিতে পারেন। এখানে কোনো আইনি বাধা নেই। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় জনপ্রতিনিধি যারা আগে নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের নিকট আত্মীয়দের নির্বাচনে অংশ নিতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে এটা তো আইন না, একটি দলীয় ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একত্রিত করার কোনো সুযোগ নেই। যত প্রার্থী আসবে স্থানীয় নির্বাচন তত সুষ্ঠু হবে বলে আমরা মনে করি। তাই আমরা চাই অধিক সংখ্যক প্রার্থী আসবে। জনপ্রশাসন সমন্বিতভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করবে।