দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চলতি বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে আজ রোববার। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে আজ ডিএসইতে দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা। শুধু চলতি বছর নয়, গত সাড়ে ৬ মাসের মধ্যে এটিই ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ৮ নভেম্বর ডিএসইতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। এরপর ডিএসইতে লেনদেন আর হাজার কোটি টাকা ছাড়ায়নি। গত বছরের ২ থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ছয় দিন ঢাকার বাজারে হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছিল। এরপর চলতি মাসে পরপর তিন দিন হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে ডিএসইতে।
ডিএসইতে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে প্রথম হাজার কোটি টাকার লেনদেন ছাড়ায় গত বুধবার। ওই দিন ১ হাজার ১১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। এরপর বৃহস্পতিবারও হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়। আর আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন আরও বেড়ে ১ হাজার ১৭৫ কোটিতে পৌঁছেছে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে বাজারে কিছুটা গতি ফিরতে শুরু করে। তাতে নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীদের অনেকে আবার বাজারে সক্রিয় হয়। এ ছাড়া কিছু কিছু কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজিকারকেরাও এ সময় সক্রিয় হয়েছেন। তাতে বাজারে লেনদেনে কিছুটা গতি দেখা যাচ্ছে।
শীর্ষস্থানীয় একাধিক ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিএসইর লেনদেনের একটি বড় অংশই এখন বিমা খাতনির্ভর। দেশের সব ধরনের মোটরযানের জন্য বিমা বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গত সপ্তাহ থেকে এ খবরটিই শেয়ারবাজারে বিমা কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছে। তাতে বিমার শেয়ারে ভর করে লেনদেনেও ঊর্ধ্বগতি বাজারে। লেনদেনের পাশাপাশি সূচকও বেড়েছে আজ। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ১৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৪০ পয়েন্টে।
ঢাকার বাজারে আজ রোববার মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ৭টিই ছিল বিমা খাতের কোম্পানি। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া বিমা খাতের ৫৭ কোম্পানির মধ্যে ৫০টিরই দাম বেড়েছে। কমেছে ৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩টির দাম। তবে লেনদেনের শীর্ষে ছিল আনোয়ার গ্যালভ্যানাইজিং।