মেহেরপুর প্রতিনিধি:-
মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্ত দিয়ে দুই দিনের ব্যবধানে আরও ৩০ জন বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মঙ্গলবার ভোররাতে মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর সীমান্ত দিয়ে এদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। পুশইনকৃত এসব নারী, পুরুষ ও শিশুকে মুজিবনগর থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুশইন হওয়া ব্যক্তিরা উপজেলার কেদারগঞ্জ এলাকায় অবস্থান করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে বিজিবির সদস্যরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
আটককৃতদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৮ জন নারী এবং ১৫ জন শিশু রয়েছে। তাদের সবাই দাবি করেছেন, তারা বাংলাদেশের নাগরিক এবং বিভিন্ন সময় জীবিকার তাগিদে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন এবং সেখানেই দীর্ঘদিন বসবাস করছিলেন।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন:
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার টগরপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ বজলুর (৪০), তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৪), সন্তান মর্জিনা খাতুন (৯), মিম (৪), রাসেল (২১)
ফুলবাড়ী থানার নগরাজপুর গ্রামের আলিমুদ্দিন (৫০), ছেলে আতিকুর (৩০), আমিনা খাতুন (২৪), মনিরা খাতুন (৪০), হালিমা (১৮), হামিমা (৩)
নাগেশ্বরী থানার বালাসিপাড়া গ্রামের ইচা আলী, তার স্ত্রী আকলিমা খাতুন, সন্তান ইসমাইল (৮), ইব্রাহিম (১৫), ইসমি (৩), সুমনা খাতুন (১৭)
নগরাজপুর গ্রামের ববিতা খাতুন (১৫) ও তার সন্তান ওবায়দুর (৭ মাস)
ধর্মপুর গ্রামের কল্পনা বেগম (২৭)
অজয়টারি গ্রামের ইয়াসমিন (২০), সন্তান ইয়ানুর (২), ইয়াসিন (৫), ফাতেমা (১)
ভোগারকুটি গ্রামের মনির হোসেন, সন্তান আদরি (২), মনির হোসেন (৭)
কাশিয়াবাড়ী গ্রামের শাহানুর (২৯), নুর ইসলাম (৯)
বালাসিপাড়া ডাঙ্গা গ্রামের আরিফ (১৯)
মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেদারগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজিবির দায়ের করা মামলায় তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল নাজমুল আহসান বলেন, “বিএসএফ যাদের পুশইন করেছে, তারা সবাই কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা এবং বেশিরভাগই অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে সেখানে দীর্ঘদিন বসবাস করছিলেন। ভারতীয় বাহিনী তাদের ধরে মুজিবনগর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।”
এর আগে, গত রোববার ভোরেও একই সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ আরও ১৯ জন বাংলাদেশিকে পুশইন করেছিল।