দাম পাচ্ছেন না আমচাষিরা

প্রকাশকালঃ ২১ মে ২০২৩ ০২:২৬ অপরাহ্ণ ১৪৮ বার পঠিত
দাম পাচ্ছেন না আমচাষিরা

সাতক্ষীরায় যথাসময়ে বৃষ্টি না হওয়া ও দাবদাহে আম দাগযুক্ত ও আকারে ছোট হয়ে গেছে। তার ওপর এখন চলছে ঝড়-বৃষ্টি। এ অবস্থায় গাছ থেকে আম পাড়তে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। বাজারে এসব আমের ভালো দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা।

এ ছাড়া অনলাইনে সরাসরি বাগান থেকে আম বিক্রি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা সরাসরি সাতক্ষীরায় কম আসছেন। এতে চাষি ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

সাতক্ষীরার আমচাষি বাবুলিয়ার কাওছার আলী জানান, বেলে-দোআঁশ মাটি ও জলবায়ুর কারণে সাতক্ষীরার আম খুব সুস্বাদু। আমও বিষমুক্ত।


গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বোম্বাই, হিমসাগরসহ বিভিন্ন জাতের আম সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড়বাজার, আবাদের হাট, ব্যাংদহা বাজার, পারুলিয়া বাজার, বুধহাটা বাজার, কুশুলিয়া হাট, নকীপুর বাজার, পাটকেলঘাটা, কলারোয়া বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতিদিন সকাল থেকে প্রচুর আম আসছে। শুধু সুলতানপুর বড়বাজারেই রয়েছে ৫০ থেকে ৬০টি আমের আড়ত। কয়েক দিনের মধ্যে বাজারে মিলবে ন্যাংড়া ও আম্রপালি।

কাশেমপুরের শহীদুল ইসলাম জানান, যথাসময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় এবার আমের আকার ছোট হয়েছে।

আমে দেখা যাচ্ছে কালো কালো দাগ। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে অনেকেই তড়িঘড়ি করে আম পাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এ ছাড়া প্রতিদিন ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় অনেকেই আম পেড়ে নিচ্ছেন। গাছ থেকে পড়ে যাচ্ছে আম। একসঙ্গে আম পেড়ে ফেলায় চাষি ও ব্যবসায়ীরা গতবারের তুলনায় এবার আমের দাম কম পাচ্ছেন।


অনলাইনে আম বিক্রির ফলে ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাগান মালিকদের কাছ থেকে আম কিনছেন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় একই সময় আম পেকে যাচ্ছে। সরকারিভাবেও আম এখনো বিদেশে না যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা খুব কম আসছেন। এসব কারণে আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা এবার ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

আমের আড়তদার মোকছেদ আলী জানান, এবার বাজারে প্রচুর আম। ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। গতবার এ সময় হিমসাগর আম বিক্রি হয়েছে ২৬০০ থেকে ২৮০০ টাকায়। তবে এখনো ল্যাংড়া আম পাড়া শুরু হয়নি। তবে সরকারিভাবে আম বিদেশে গেলে বাইরের ব্যবসায়ীরা বেশি করে সাতক্ষীরায় এলে ভালো দাম পাওয়া যেত।

 সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, এবার জেলায় চার হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দেড় গুণ আম উৎপাদন হয়েছে। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা যাতে ক্ষতির সম্মুখীন না হন সে জন্য তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন। তবে ভালোমানের আমের ভালো দাম আছে বলে তিনি দাবি করেন।