তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে রংপুর হবে শস্য ভান্ডার: কুড়িগ্রামে দুলু 

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ   |   ৮৮ বার পঠিত
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে রংপুর হবে শস্য ভান্ডার: কুড়িগ্রামে দুলু 

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-

 

কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলায় তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে এক প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু। তিনি বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে রংপুর অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে এবং এ অঞ্চলটি বাংলাদেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী এলাকায় পরিণত হবে।
 

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উলিপুরের থেতরাই ইউনিয়নের দড়ি কিশোরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এ সভায় দুলু আরও বলেন, তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রংপুরের মানুষকে আর ঢাকা, গাজীপুর বা চট্টগ্রামে কাজের সন্ধানে যেতে হবে না। তিনি রংপুরকে “শস্য ভান্ডার” হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
 

সাবেক এই উপমন্ত্রী বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “তুমি তিস্তার পানি চাও নাকি গদি চাও?” এবং শেখ হাসিনা গদিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। দুলু দাবি করেন, তিস্তা তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ সরকারকে ভোট না দেওয়ায় এ বিষয়ে সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই।
 

তিনি ভারতের সমালোচনা করে বলেন, বাংলাদেশের সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী নিরীহ মানুষ হত্যা করছে এবং বাংলাদেশের ভূখণ্ড দখল করছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যে দেশ জুলাই আন্দোলনের পতিত সরকারকে আশ্রয় দিয়েছে, তারা কি আমাদের বন্ধু হতে পারে?” তিনি আরও যোগ করেন, পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীও বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হয়েছে, যা বাংলাদেশের শক্তির প্রমাণ।
 

সভায় তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক হায়দার আলী মিঞার সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক ওবায়দুর রহমান বুলবুলের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম জেলা সমন্বয়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, সহকারী অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিব, সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, আব্দুর রশিদ, মহসিন আলী, নুর মোহাম্মদ ও সোলায়মান আলী সরকার প্রমুখ।
 

উল্লেখ্য, তিস্তা নদীর তীরবর্তী রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলার ১১টি স্থানে ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।