প্রকাশকালঃ
০৪ অক্টোবর ২০২৩ ০৫:৩৯ অপরাহ্ণ ২৪৯ বার পঠিত
সরবরাহ উদ্বেগ থেকে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েই চলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ঘাটতির কারণে চতুর্থ প্রান্তিকেও দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনের ব্রেন্ট অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৯৫ ডলার ছাড়ালেও গতকাল কিছুটা কমে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামও ৯২ ডলার ছাড়িয়ে আবার কিছুটা কমেছে।
সরবরাহ ঘাটতির আশঙ্কায় বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে উভয় বেঞ্চমার্ক তেলের দাম প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। দুই শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব ও রাশিয়ার স্বেচ্ছায় উৎপাদন হ্রাসের কারণে বছরের চতুর্থ প্রান্তিকেও বাজারে ঘাটতি থাকবে।
এনএস ট্রেডিংয়ের প্রেসিডেন্ট হিরোকি কিকুকাওয়া বলেন, ‘তেলের বাজারে সপ্তাহ শুরু হয়েছে ঊর্ধ্বমুখী ভাব নিয়ে। ওপেক প্লাস দেশগুলোর নীতিগত অবস্থান বদলের কোনো সম্ভাবনা নেই।
ফলে সরবরাহ উদ্বেগের কারণেই দাম বাড়ছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শাটডাউন এড়াতে পারায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে। তবে আমি মনে করছি, সামনে দাম আরো বাড়বে কি না, তা নির্ভর করছে চাহিদা কেমন তৈরি হয় তার ওপর।
এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ডাব্লিউটিআই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৯১ ডলারে অবস্থান করছে। সরবরাহ টান থাকা সত্ত্বেও সৌদি আরব ও রাশিয়া গত সপ্তাহেই বলেছে, তারা নিজে থেকে দৈনিক যে ১৩ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন হ্রাস করেছিল, সেই সিদ্ধান্ত চলতি বছরের শেষাবধি টেনে নিয়ে যাবে। ট্রেডিং ইকোনমিকস বলছে, দুই শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশের উৎপাদন হ্রাসের কারণে আগামী মাসগুলোতে তেলের বাজারে ঘাটতি তৈরির আশঙ্কা করা হচ্ছে। রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক পূর্বাভাস দিয়েছে ২০২৪ সালে বিশ্ববাজারে তেলের চাহিদা দিনে বাড়বে ২.২৫ মিলিয়ন ব্যারেল। এর বিপরীতে সরবরাহ সেভাবে বাড়বে না।
এমনকি এ বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে দিনে ৩.৩ মিলিয়ন ব্যারেল ঘাটতি তৈরি হবে। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থাও (আইইএ) এর আগে পূর্বাভাস দিয়েছে সৌদি আরব ও রাশিয়ার তেল উৎপাদন হ্রাসের কারণে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে তেলের বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ঘাটতি তৈরি হবে। ফলে এমন উদ্বেগ থেকেই বিশ্বেবাজারে বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম।