টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। মামলাটি করেছিলেন লায়লা আক্তার ফারহাদ।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম মামলাটির অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণের দিন ধার্য করেন। এ পর্যন্ত প্রিন্স মামুন জামিনে ছিলেন। নির্ধারিত দিনে আদালতে আত্মসমর্পণ করে তিনি পুনরায় জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন এবং অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
গত বছরের ৯ জুন রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় লায়লা আক্তার ফারহাদ প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। পরদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লা থেকে পুলিশ মামুনকে গ্রেপ্তার করে। পরে, ১ জুলাই আদালত তাকে জামিন দেন।
আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্র অনুযায়ী, তিন বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে লায়লার সঙ্গে পরিচয় হয় প্রিন্স মামুনের। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যেখানে মামুন তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন।
লায়লার ঢাকায় নিজস্ব বাসা থাকায় মামুন সেখানে থাকার অনুমতি চান এবং ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় উঠেন। এরপর থেকে মামুন লায়লার সঙ্গেই একই রুমে থাকতে শুরু করেন এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, মামুন লায়লার বাসায় থাকাকালীন তার বাবা-মাও মাঝেমধ্যে সেখানে আসতেন। কিন্তু বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি বারবার অজুহাত দেখিয়ে তা এড়িয়ে যান। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন লায়লাকে আবারও ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।