অসুস্থদের মধ্যে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের জাহিদ ইসলাম জয় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাহিদ ইসলামকে রংপুর ডক্টরস ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের রুম্মানুল ইসলাম রাজ এবং গণিত বিভাগের আরমান হোসেনকে স্যালাইন দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার দুপুর পর্যন্ত চারজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উপাচার্য শওকাত আলী, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও চিফ মেডিকেল অফিসারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দেখতে যান।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরেও বেরোবিতে কোনো ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। অথচ প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংসদের নামে ফি আদায় করা হয়েছে। তারা দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ছাত্র সংসদ অন্তর্ভুক্ত করে সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী রোড ম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান।
উপাচার্য শওকাত আলী বলেন, “আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি। সামনের ল মিটিং শেষে রেজুলেশন রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে।”
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, শিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন অনশনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর গেটে নয়জন শিক্ষার্থী অনশনে বসেন। তারা হলেন— ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আশিকুর রহমান আশিক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের জাহিদ ইসলাম জয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাহিদ ইসলাম, ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের কায়সার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের নয়ন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের রুম্মানুল ইসলাম রাজ, অর্থনীতি বিভাগের আতিকুর, গণিত বিভাগের আরমান হোসেন এবং ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিবলি সাদিক।