এএফসি কাপ ফুটবলে নিজেদের হোম ভেন্যুতে বসুন্ধরা কিংসের প্রথম জয়

প্রকাশকালঃ ০২ অক্টোবর ২০২৩ ০৫:৫৫ অপরাহ্ণ ১৯৪ বার পঠিত
এএফসি কাপ ফুটবলে নিজেদের হোম ভেন্যুতে বসুন্ধরা কিংসের প্রথম জয়

প্রথম জয় বলে কথা, প্রথম মানে হচ্ছে এএফসি কাপ ফুটবলে নিজেদের হোম ভেন্যুতে বসুন্ধরা কিংস প্রথম জয় পেয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তাদের নিজেদের মাঠে এএফসি কাপ ফুটবলের গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস ৩-১ গোলে হারিয়েছে ভারতের ওড়িশা এফসিকে। গ্রুপ পর্বে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের মুখ দেখল কিংস। আর এটি নিয়ে খুব বেশি খুশি হওয়ার মতো না হলেও নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে বেশ গুরুত্বপূর্ণই। দুর্দান্ত ম্যাচ খেলেছে কিংসের ফুটবলাররা। ফ্লাডলাইটের উজ্জ্বল আলোয় কিংস যেন আলোকিত পারফরম্যান্স করেছে।

গোল হজম করে পিছিয়ে থাকা কিংস পালটা তিন গোল করেছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমেছিল কিংস। অনেকেরই ধারণা ছিল ওড়িশার বিপক্ষে জিততে পারবে না কিংস। কারণ কয়েক দিন আগ থেকে ক্লাবের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা ভঙের ঘটনার কারণে আন্তর্জাতিক ক্লাব ম্যাচের জন্য দল গড়াটাই কোচ কর্মকর্তাদের জন্য কঠিন হয়ে গিয়েছিল। গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলাররা খেলতে পারবেন না। তাদের বাদ দিয়ে কীভাবে একাদশ গড়া হবে সেটি ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। সব পরিকল্পনা ঠিকঠাক করে সেটিকে বাস্তাবায়ন করাটা যেমন চ্যালেঞ্জ, তেমনি সাংগঠনিক ভাবেও শক্ত অবস্থানে থাকা কঠিন। কিংস এত কঠিন বাধার মুখে পড়েনি কখন। সবকিছু ঠিকঠাক করেই উতরে গেছে, চ্যালেঞ্জ জিতেছে।


গোলকিপার জিকো নেই, রক্ষণে স্টপারব্যাক তপু নেই। কীভাবে সামাল দেবে প্রতিপক্ষকে। জিকোর জায়গায় নামাতে হয়েছে একেবারে আনকোরা গোলকিপার মেহেদি হাসানকে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি কখনো। কালই প্রথম নামলেন। এর আগে মেহিদ লিগের মাচ খেলেছে মাত্র তিনটা। কঠিন ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা যার নেই। সেই গোলরক্ষকে নিয়ে এতো বড় এবং কঠিন একটা ম্যাচে খেলতে নামা মানে পোস্ট খালি রেখে খেলতে নামা। সামনে রক্ষণের দেওয়াল হয়ে তপু থাকলেও একটা কথা। সেখানেও ফাঁকা। কিংস মূলত এই দুটি জায়গা নিয়ে বেশি ভেবেছিল। দলের বাকি যারা ছিলেন সাদ, তারিক কাজী, বিশ্বনাথদের সঙ্গে বিদেশি ফুটবলাররা তাল মিলিয়ে রক্ষণ মাঝমাঠ এবং আক্রমণে ছন্দ বোনার চেষ্টা করেও খেলার ১৮ মিনিটে গোল হজম করে পিছিয়ে যায় কিংস। ওড়িশার দিয়েগো ব্রিতো গোল করেন ১-০। এর তো কিংসের খেলা। বল ওদের পায়ে। মিগুয়েল ফেরেইরা, রবসন, গফুরভ, ডরিয়েলটন আর রকিবদের আক্রমণের কাছে ওড়িশা যেন কুলিয়ে উঠতে পারছিল না। ৩৮ মিনিটেই গোল শোধ করেন কিংসের মিগুয়েল ফেরেইরা ১-১। এই গোলের পুরো কৃতিত্ব রবসনের। ছোট বক্সের ভেতরে দিনলিয়ানা, থুইবা, গোলরক্ষক এবং অধিনায়ক আমরিন্দর সিংয়ের মাঝখান থেকে বলটা আকাশে ভাসিয়ে দিলে মিগুয়েল ফাঁকা পোস্টে হেড 

করেন। বিরতির আগমুহূর্তে রাকিবের ক্রস থেকে ডরিয়েলটন ওডিশার দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান থেকে লাফিয়ে নিখুঁত হেডে বল জালে পাঠান ২-১। দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমেই গোল পায় বসুন্ধরা কিংস। ৫৫ মিনিটে আবার সেই রবসনের বানানো বলে ডরিয়েলটন ওড়িশার গোলরক্ষক আমরিন্দর সিংয়ের দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে বল জায়ে ঠেলে দেন, ৩-১। ৬৭ মিনিটে ওড়িশার জেরি গোল করেছেন, ২-৩। তারপরও কিংসের ডরিয়েলটন হ্যাটট্রিকের সুযোগ মিস করেছেন।