সুন্দরবনকে ম্যানগ্রোভ বন বলা হয় কারণ এটি একটি লবণাক্ত জলাভূমিতে অবস্থিত। ম্যানগ্রোভ হলো এমন গাছ যা লবণাক্ত পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে। সুন্দরবনে প্রায় ১০০ প্রজাতির ম্যানগ্রোভ গাছ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সুন্দরী, গরান, গেওয়া, কেওড়া, হিড়হুল, পশুর, ধুন্দুল, তেঁতুল, বেত ইত্যাদি।
ম্যানগ্রোভ গাছের মূলের বিশেষ কাঠামো রয়েছে যা তাদের লবণাক্ত পরিবেশে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। এই মূলগুলোকে শ্বাসমূল বলা হয়। শ্বাসমূলগুলো জলের উপরে উঠে থাকে এবং বাতাসের অক্সিজেন গ্রহণ করে।
ম্যানগ্রোভ বন প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরা উপকূলীয় অঞ্চলকে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও, ম্যানগ্রোভ বন প্রায় ৪০০ প্রজাতির পাখি, স্তন্যপায়ী প্রাণী, সরীসৃপ এবং মাছসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর আবাসস্থল।
সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ও প্রাচীনতম ম্যানগ্রোভ বন। এটি ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। সুন্দরবন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত। এটি আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রামসার সাইট হিসেবে স্বীকৃত।