সিরাজুল ইসলাম রতন
পলাশবাড়ী প্রতিনিধি :-
ঢাকা প্রেসঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধে ট্রাক্টর ও ডাম্পার ট্টাকের দাপটে ৩ কিলোমিটার বাধের বেহাল অবস্থা হয়ে পরেছে।কয়েকদিন পর পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচানলা করা হয়।জরিমানা করা হয় ট্রাক্টর মালিকদের। কিন্তু তার পরে ও থামছে না তাদের অবাধ চলাফেরা।ফলে বারং বার তারা একই অপরাধে জরিয়ে পরছে।
৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে দেখাযায় উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধের কিশামত চেরেঙ্গা হতে করতোয়া পাড়া দুলাল ঠাকুরের বাড়ী পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার বাধের উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে দশ চাকার ডাম্পার ট্রাক ও ট্রাক্টর। বাধের নিচে এক্সকভাটর মেশিন দিয়ে বিশাল আকারের পুকুর খনন করে ২৪ ঘন্টা মাটি বিক্রি করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান প্রভাবশালী একটি মহল প্রতিনিয়ত সকাল থেকে ভোর রাত পর্যন্ত বাধের উপর দিয়ে মাটি বিভিন্ন ইট ভাটায় পৌছে দিচ্ছেন। এতে কারে বাধের দু পার্শ্বের অংশ ভেঙ্গে ধ্বস নামতে শুরু করেছে।ফলে বাধের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পরেছে।
শুধু যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে তা নয় বাধের উপর হাটু পরিমান ধুলার কারনে সাধারণ মানুষের চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
তারা আরো বলেন গত ১০/১৫ দিন থেকে দিন রাত ২৪ ঘন্টা জাম ট্রাক ও ট্রাক্টর দিয়ে এসব মাটি আনা নেওয়া করছে। বাধের উপর এ অবস্থা বিরাজমান থাকলে আগামী বর্ষা মৌসুমে বন্যায় প্লাবিত হতে পারে ১০টির অধিক গ্রাম।পানিবন্দি হতে পারে হাজার হাজার মানুষ।
কিশোরগাড়ী গনেশ পুর বাজারের এমদাদুল, রফিকুল মেম্বার,আমবাগানের আলম, শরিফুল ফিরোজ, চেরেঙ্গার শরিফুল গংদের অসংখ্য ট্রাক্টর এই মাটি ব্যাবসার সাথে সরাসরি জরিত বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে হোসেনপুর ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুল আমিন মন্ডল টিটুর মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায় নি।
পলাশবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভুমি) মাহমাদুল হাসান বলেন শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।