বিষয়টি নিশ্চিত করেছে একাধিক মিশন সূত্র। তবে এই নির্দেশনা কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি বা ই-মেইলের মাধ্যমে নয়, টেলিফোনে অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে। পরে তাঁদের মাধ্যমে অন্যান্য মিশনগুলোতেও খবরটি পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের কয়েকটি মিশনের কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, এখনো সবাই এ ধরনের নির্দেশনা পাননি। তবে অন্তত দুই মিশনের প্রধান স্বীকার করেছেন যে তাঁরা সরকারের নির্দেশনা পেয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, নির্দিষ্ট কিছু রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যাতে তাঁরা কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট এবং সংশ্লিষ্ট অফিস ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি অপসারণের বিষয়টি তদারকি করেন।
একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “ঢাকা থেকে টেলিফোনে আমাদের জানানো হয়েছে। লিখিত কোনো চিঠি আসেনি। নির্দিষ্ট অঞ্চলের দূতরা অন্য মিশনগুলোকে বিষয়টি জানাচ্ছেন এবং বাস্তবায়নও দেখছেন।”
আরেকজন কূটনীতিক জানান, “আমাদের অঞ্চলে যে রাষ্ট্রদূত দায়িত্বে আছেন, তিনি সরাসরি কিছু বলেননি। কাছের একটি মিশন থেকে একজন রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে খবরটি এসেছে।”
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি মিশনে কর্মরত কূটনীতিক বলেন, “আমাদের সহকর্মীরা পাশের মিশন থেকে ফোনে খবর পেয়েছিলেন। তবে আমরা তো কয়েক মাস আগেই ছবিগুলো সরিয়ে ফেলেছি। সদর দপ্তরে যেভাবে করা হয়েছিল, সেটির সঙ্গে আমাদের পদক্ষেপ মিলে গেছে।”