সাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’, ভারত ও পাকিস্তানে সতর্কতা
প্রকাশকালঃ
১১ জুন ২০২৩ ০৫:৫১ অপরাহ্ণ ২৯৭ বার পঠিত
আরব সাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ মারাত্মক প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি ১৯০ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ো হাওয়ার শক্তি নিয়ে ঘূর্ণিবায়ু চক্রে পরিণত হয়েছে। যা ভারত-পাকিস্তান উপকূলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসায় দুই দেশেই জারি করা হয়েছে সতর্কতা এবং ঝড়ের সঙ্গে জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কায় উপকূলীয় এলাকায় নেওয়া হচ্ছে প্রস্তুতি।
ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববার ভারতীয় সময় সকাল ৬টায় মুম্বাই থেকে ৫৮০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পাকিস্তানের করাচি থেকে ৭৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল ‘বিপর্যয়'। শেষ ছয় ঘণ্টায় এ ঝড় এগিয়েছে ঘণ্টায় ৯ কিলোমিটার গতিতে।
বর্তমান গতিপথ ঠিক থাকলে ১৪ জুন সকাল পর্যন্ত ‘বিপর্যয়' উত্তর দিকে অগ্রসর হবে। তারপর উত্তর উত্তরপূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে ১৫ জুন অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকারে গুজরাটের মান্দভি এবং পাকিস্তানের করাচির মাঝামাঝি ভারতের সৌরাষ্ট্র ও কুচ এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
উপকূলে আঘাত হানার সময় এ ঝড়ের কেন্দ্রের কাছে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২৫ থেকে ১৩৫ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
ভারতীয় আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী পাঁচ দিন গুজরাটে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রঝড় হতে পারে। গুজরাট রাজ্য সরকার সকল জেলা প্রশাসনকে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে। সেই সাথে আরব সাগরের তীরবর্তী বন্দরগুলোতে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
এছাড়া, সাগর উত্তাল থাকায় গুরাজট, কেরালা, কর্ণাটক ও লক্ষাদ্বীপ অঞ্চলের জেলেদের নৌকা বা ট্রলার নিয়ে সাগরে যেতে নিষেধ করেছে ভারতের আবহাওয়া অফিস।
অপরদিকে, পাকিস্তান সরকারও সিন্ধু ও বালুচিস্তান প্রদেশে সতর্কতা জারি করেছে। দেশটির আবহাওয়া অফিস বলেছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সিন্ধু প্রদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব অংশে দমকা বজ্রঝড়ের সঙ্গে প্রবল বর্ষণ হতে পারে। সেই সঙ্গে উপকূলীয় নিচু এলাকা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
করাচি বন্দরে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। করাচির সৈকতগুলোতেও নৌকা ভ্রমণ, মাছ ধরা, স্নান বা সাঁতার কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরব সাগরে সৃষ্ট একটি নিম্নচাপ গত ৬ জুন ঘূর্ণিঝড়ের রূপ পেলে তখন এর নাম হয় বিপর্যয়। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার নামের ক্রম অনুযায়ী এই নাম দেওয়া হয় এবং নামটি বাংলাদেশের দেওয়া।