টানটান উত্তেজনার জন্য যে সব সময় বড় স্কোরের দরকার পড়ে না, সেটার প্রমাণই যেন হয়ে থাকল নামিবিয়া বনাম ওমানের ম্যাচটি। টি-টোয়েন্টিতে দুশো ছাড়ানো ইনিংস দেখা যায় অহরহ, সেখানে নামিবিয়া-ওমান সাকুল্যে করেছিল ২১৮ রান। তাও উত্তেজনার কোনো কমতি থাকল না। শেষে জয়টা হলো নামিবিয়ার।
নড়েচড়ে বসার শুরুটা হয় ১৯তম ওভার শেষে। তখন জেতার জন্য মাত্র ৫ রান দরকার ছিল নামিবিয়ার, হাতে ছিল ৬ উইকেট। ওমান পেসার প্রথম তিন বলে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন পুরো ১৮০ ডিগ্রি, জয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা নামিবিয়া পড়ে যায় বিপদে। চতুর্থ বলে সিঙ্গেল ও পঞ্চম বলে ডাবলস নেয় নামিবিয়া। ফলে শেষ বলে দরকার পড়ে ২ রান। শেষ বলে ব্যাট লাগাতে না পারলেও ওমানের উইকেটরক্ষকের ভুলের সুযোগ নিয়ে এক রান নিয়ে নেয় তারা। ফলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় সুপার ওভারে।
বারবাডোজের কেনিংস্টন ওভালে অল্প রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় নামিবিয়া। রান উঠার আগেই প্রথম ওভারে বিলাল খানের করা দ্বিতীয় বলে বোল্ড হন ওপেনার মাইকেল ফন লিনজেন। এরপর ধীরেসুস্থে ব্যাট চালাতে থাকেন দলটির ব্যাটাররা। নিকোলাস ডেভিন ও ইয়ান ফ্রাইলিঙ্কের মধ্যে দ্বিতীয় উইকেটে হয় ৪২ রানের জুটি। এ সময় ৩১ বলে ২৪ রান করে বিদায় নেন ডেভিন। অধিনায়ক জেরহার্ড এরাসমাস আউট হন ১৩ রান করে। কিন্তু ফ্রাইলিঙ্ক হাল ধরে রাখেন শক্তভাবে, পাশাপাশি ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে রানও তুলে নিচ্ছিলেন তিনি। অন্যপ্রান্তে জেজে স্মিত আউট হন ৮ রান করে।
সুপার ওভারের প্রথম বলে নামিবিয়া ৪ মারেন দ্বিতীইয় বলে ৬ তৃতীয় বলে ২ রান চতুর্থ বলে ১ রান পঞ্চম বলে আবারো ৪ এবং শেষ বলে ৪ মেরেই ২১ রান তোলে। তখন ওমানের জন্য দরকার পড়ে ২২ রানে। কিন্তু তারা ১ উইকেট হারিয়ে শেষ বলে ৬ বলে মেরে ১০ রান তোলতে পারে।
নামিবিয়া ম্যাচটিতে জয় পেলেও ম্যাচটি ছিল উপভোগ্য।