পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসন নেই । তবে এখনো সচল আছে জ্যাকসনের টুইটার অ্যাকাউন্টস। সেখানে ২০২০ সালের ২৩ মার্চ মাইকেল জ্যাকসনের মুখে কালো রঙের মাস্ক পরা একটি ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘স্মার্ট হোন, নিরাপদে থাকুন’।
কেবল কালো নয়, প্রায়ই সাদা আর রুপালি রঙের সার্টিন কাপড়ের মাস্ক পরিহিত অবস্থায়ও দেখা গেছে জ্যাকসনকে। আর তা নিয়ে লোকের টিপ্পনী আর হাসাহাসিও কম শুনতে হয়নি মাইকেল জ্যাকসনের বডিগার্ড ম্যাট ফিডেসকে। তাই অন্তত আলোকচিত্রীদের সামনে মাস্ক পরতে নিষেধ করেছিলেন ম্যাট। তখন মাইকেল জ্যাকসন বলেছিলেন, ‘আমি মানুষের মন জুগিয়ে চলার জন্য অসুস্থ হতে পারি না।
সামনেই আমার বেশ কয়েকটা কনসার্ট। আমি গলা খারাপ করে এসে ভক্তদের নিরাশ করতে পারি না। আমাকে নিজের শরীরের খেয়াল রাখতে হবে। আমার এই পৃথিবীতে আসার একটা উদ্দেশ্য আছে। সেটা পূরণ করার জন্য আমার গলার আর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হওয়া জরুরি।’ জ্যাকসন এ রকম একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ব্যাপারে আঁচ করেছিলেন।
তিনি জানতেন, একটা ভাইরাস যেকোনো সময় বিশ্বে হানা দিতে পারে। তাই তিনি সাবধানে থাকতেন। এক দিনে চারটা দেশও ঘুরতে হয়েছে মাইকেলকে। ‘দ্য সান’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এভাবেই বলেন ম্যাট। তিনি দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে মাইকেল জ্যাকসনকে সুরক্ষা দিয়েছিলেন।
ম্যাটের বিশ্বাস, এ রকম একটা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করে যে বিশ্বকে নাড়িয়ে দিতে পারে, তা আগেই আঁচ করেছিলেন কিং অব পপ। তাই তিনি কত কটু কথা শুনেও মাস্ক পরতেন। ম্যাট বলেন, ‘জ্যাকসন এ রকম একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ব্যাপারে আঁচ করেছিলেন। তিনি জানতেন, একটা ভাইরাস যেকোনো সময় বিশ্বে হানা দিতে পারে। তাই তিনি সাবধানে থাকতেন। এক দিনে চারটা দেশও ঘুরতে হয়েছে মাইকেলকে। উড়োজাহাজেও তিনি সব সময় মুখ ঢেকে রাখতেন।’
এতই যদি সব জানতেন, তাহলে অন্যদের জানাননি কেন—ম্যাট এই প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন। বলেছেন, মাইকেল জ্যাকসন যদি গান গেয়ে, নেচে ভাইরাসের বিষয়ে কথা বলতেন, তাহলে লোকে নাকি বিশ্বাসই করত না! হেসেই উড়িয়ে দিত। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সুপারস্টারের কাছ থেকে নাকি লোকে এসব কথাবার্তা প্রত্যাশা করে না৷ ম্যাট এ-ও বলেন, মাইকেল জ্যাকসন নাকি অত্যন্ত বুদ্ধিমান ব্যক্তি ছিলেন।