সারাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগকে ডেঙ্গু রোধে নির্দেশ দিয়েছে সরকার
প্রকাশকালঃ
৩১ মে ২০২৩ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ ১০২ বার পঠিত
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা ভ্যাক্সিনের তৃতীয় ডোজের পর চতুর্থ ডোজ দেওয়া হচ্ছে। দেশের আশি থেকে নব্বই ভাগ মানুষ করোনা ভ্যাক্সিনের ডোজ নিয়েছে। গত কয়েক দিনে করোনার প্রকোপ একটু বাড়লেও সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ সজাগ রয়েছে। চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজারের রামু উপজেলার চেইন্দা গ্রামে বেসরকারি উদ্যোগে হোপ মেটারনিটি অ্যান্ড ফিস্টুলা হাসপাতাল উদ্বোধন করতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিষ্ঠান হোপ ফাউন্ডেশন এই হাসপাতালটি স্থাপন করে। দেশে বেসরকারি উদ্যোগে এক শ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হোপ মেটারনিটি অ্যান্ড ফিস্টুলা হাসপাতাল উদ্বোধন করা হয়।
জাহিদ মালেক বলেন, 'গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু একটু বেড়েছে।
ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি নিয়েও স্বাস্থ্য বিভাগ সজাগ রয়েছে। দেশের প্রতিটি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করা হয়েছে। চিকিৎসক নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা ডেঙ্গু রোগের সঠিক চিকিৎসা দিতে পারে।'
তিনি আরো বলেন, 'ডেঙ্গু রোগের হটস্পট কক্সবাজার এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আলাদা নজরদারি রয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যাতে বাইরে ডেঙ্গু রোগ না ছড়ায় সে ব্যাপারে সজাগ রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। একই সাথে সারাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগকে ডেঙ্গু রোগের বিস্তার রোধ নিয়ে জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।'
'বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য সেবাকে মানুষের দোর গোড়ার পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে' উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'দেশের প্রতিটি উপজেলায় ৫০ বেডের হাসপাতাল এবং জেলা সদরে আড়াই শ বেডের হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের আধুনিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে এখন। দেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাকে নিশ্চিত করেছে সরকার।
সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক করে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে পুরস্কৃত হয়েছেন।'
হোপ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ডা ইফতেখার মাহমুদ মিনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হাসপাতালের উদ্বোধনকালে আরো বক্তব্য দেন কক্সবাজার রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ডা আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম ও সরকারের এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ।