ঢাকা প্রেস,বরগুনা প্রতিনিধি:-
বরগুনায় ৭ জন রিমান্ডে থাকা আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে, যেখানে পুলিশের এক এসআইসহ চার সদস্য আহত হয়েছেন। এই ঘটনা সোমবার দুপুরে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ঘটে। এতে সংশ্লিষ্ট তিনজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন তালতলী থানার এসআই শহিদুল ইসলাম, কনস্টবল রিয়াজুল ইসলাম, অন্তর এবং ফোরকান।
আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন সদর উপজেলার ঘটবাড়ীয়া এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে আশ্রাফুর রহমান অন্তু (২০), তালতলী উপজেলার মালিপাড়া এলাকার আ. ছত্তারের ছেলে মো. ছগির মিস্ত্রি (৫০) এবং তার স্ত্রী হামিদা বেগম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, গত ১৫ অক্টোবর তালতলী থানায় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় অভিযুক্তরা তালতলী বন্দরের জিয়া মঞ্চ ও বিএনপি অফিস ভাঙচুরসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়। বাদী পক্ষের জাকির হোসেনের কাছে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে তার অফিসে ভাঙচুর করে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত সাতজনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিমান্ডকৃতদের শারীরিক পরীক্ষা করাতে নিয়ে গেলে তাদের স্বজনরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়, এতে চার পুলিশ সদস্যসহ হাসপাতালের পাঁচ কর্মী আহত হন। পরে ডিবি পুলিশ ও সদর থানা ঘটনাস্থলে এসে তিনজনকে আটক করে। তবে হামলাকারীরা পুলিশ হেফাজতে থাকা কোনো আসামিকে ছিনিয়ে নিতে পারেনি।
রিমান্ডে থাকা আসামিরা হলেন মো. মিজানুর রহমান (৩০), মো. রাকিব (২৫), মো. জাহিদ (২৫), মো. খলিল (৩০), মো. ইমরান হোসেন (২২), মো. আরিফুর রহমান (২০) ও মো. ইউসুফ (২৬)।
বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বশিরুল আলম জানান, বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে আসামির স্বজনরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করা হয় এবং হামলাকারী তিনজনকে আটক করা হয়। এছাড়াও ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের ধরতে অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, তালতলী থানার পুলিশ সদস্যরা আসামিদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের স্বজনরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে হাসপাতালে কর্মরত কয়েকজন বাধা দিলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়। ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।