মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, বীর প্রতীক জানিয়েছেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শনাক্ত করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) পুনর্গঠন করা হয়েছে এবং মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সে অনুযায়ী দেশব্যাপী মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই করা হবে। যাচাই প্রক্রিয়ায় যাদের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে শনাক্ত করা হবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম আরও জানান, খুব শিগগিরই "জুলাই অধিদপ্তর" আত্মপ্রকাশ করবে। জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হবে। তাদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সনদ ও পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত জুলাই যোদ্ধাদের তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকে গুরুত্ব দেবে এবং জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতির বিষয়টি অগ্রাধিকারে রাখবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করা ফারুক-ই-আজম জানান, এখন থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কার্যক্রমের মালামাল স্থানীয় পর্যায় থেকে সংগ্রহ করা হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দ্রুত সুবিধাভোগীদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানো, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্য অর্জিত হবে।
এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) তত্ত্বাবধানে স্থানীয়ভাবে ত্রাণ সামগ্রী কেনা হবে। প্রতি উপজেলায় এ খাতে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় পুনর্বাসন, টিআর (টেস্ট রিলিফ) এবং কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, উন্নয়নমূলক অবকাঠামো প্রকল্পসমূহ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।