অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা নষ্ট করে কিছু সবজি সালাদ

প্রকাশকালঃ ২২ আগu ২০২৩ ০১:৪১ অপরাহ্ণ ১৫৯ বার পঠিত
অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা নষ্ট করে কিছু সবজি সালাদ

বিজ্ঞানীরা বলছেন, অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের সময় রোগীদের নির্দিষ্ট কিছু সবজি সালাদ এড়িয়ে চলা উচিত। ডাক্তারদেরও উচিত রোগীদের সালাদ এবং কাঁচা শাকসবজি এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া। কারণ এই সবজি সালাদ রোগীর শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সুপারবাগ তৈরির ঝুঁকি বাড়ায়। তারা বলছেন, কাঁচা ফল ও সবজিতে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী জিনযুক্ত ব্যাকটেরিয়া লুকিয়ে থাকতে পারে। বিশেষ করে সুপার মার্কেটের প্রস্তুতকৃত মুলা ও গাজরের সালাদে এই ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। খবর উইওন ও ইন্ডিপেন্ডেন্টের।

নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জিনগুলো ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ অণুতে পাওয়া যায় এবং জীবাণুগুলোকে কোষ থেকে কোষে স্থানান্তরিত হয়ে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করার অনুমতি দিতে পারে। তাই ডাক্তাররা যখন অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেবেন তখন রোগীদের বলা উচিত কীভাবে খাবার রান্না করবেন এবং কী কী সবজি এড়িয়ে চলবেন। এর মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া বহনকারী প্রতিরোধী জিনগুলো অন্ত্রে প্রবেশ করা থেকে ঠেকানো যেতে পারে।


প্লস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত ঐ গবেষণা প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিক বিরোধী প্রতিরোধ মোকাবিলা করার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টাগুলো ওষুধের ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যবিধির ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। তবে কিছু সংক্রমণ এবং প্রতিরোধী জিন যে একজন ব্যক্তির অন্ত্রে জীবনকাল থাকতে পারে তা সাধারণত বিবেচনায় নেওয়া হয় না।


গবেষক দলটি ১৪টি বিভিন্ন শ্রেণির অ্যান্টিবায়োটিকের ওপর কাজ করেছে এবং কম, মাঝারি এবং উচ্চ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে ১ হাজার মানুষের ওপর প্রতিরোধ জিন গ্রহণের অনুকরণ করতে গাণিতিক মডেলিং ব্যবহার করেছে। তারা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, একজন ব্যক্তির অন্ত্রে প্রতিরোধী জিনের সংখ্যা তাদের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের স্তরের ওপর নির্ভর করে, তবে অর্জিত জিনের সংখ্যা খাবার তৈরি এবং খাওয়ার পরিবর্তনের মাধ্যমে হ্রাস করা যেতে পারে।

এই গবেষণার নেতৃত্ব দেওয়া নটিংহাম ইউনিভার্সিটির কম্পিউটেশনাল বায়োলজির অধ্যাপক ডভ স্টেকেল বলেন, আপনি যখন অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করছেন ঠিক তখনই আপনি খাবার থেকে ওষুধ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার কারণে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা তৈরির জন্য সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীল। আপনি অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের সময় যদি এমন কিছু খান এবং তাতে যদি ব্যাকটেরিয়া থাকে তাহলে সেই প্রতিরোধ জিনগুলো আপনার অন্ত্রে থেকে যেতে পারে। আর পরবর্তীতে আপনার অ্যান্টিবায়োটিক দরকার হলে তা কার্যকরভাবে কাজ নাও করতে পারে।