দলের প্রয়োজনরে সময় যেন ত্রাদা হয়ে এলেন লুইস সুয়ারেজ। খেলার ৯০ মিনিট শেষ, তখনও ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে উরুগুয়ে। তবে যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে গোল করে দলকে সমতা এনে দেন সুয়ারেজ। খেলাকে নিয়ে গেলেন টাইব্রেকারে। আর সেখানে সের্হিও রোচেতের নৈপূণ্যে কানাডাকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে টুর্নামেন্টের তৃতীয় স্থান অর্জন করে উরুগুয়ে।
দলের প্রয়োজনে এদিন যেমন জ্বলে উঠেছিলেন বর্তমানে দলের সবচেয়ে বড় তারকা লুইস সুয়ারেজ, ঠিক তেমনি দলের জয়ে অবদান রেখেছেন গোলরক্ষক রোচেত। কানাডার ইসমায়েল কোনের দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন উরুগুয়ের এই গোলরক্ষক। পরে আলফুঁ ডেভিসের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।
চলতি কোপা আমেরিকায় এ নিয়ে দুবার টাইব্রেকারে জিতলো উরুগুয়ে। এর আগে ব্রাজিলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে ৪-২ ব্যবধানে জিতেছিল তারা। আর আজকের ম্যাচে কানাডাকে হারিয়ে দিল টাইব্রেকারে।
নর্থ ক্যারোলিনার ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে অষ্টম মিনিটেই এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। কর্নার থেকে বল পেয়ে জাল খুঁজে নেন মিডফিল্ডার বেন্তানকুর। ১৪ মিনিট পর বাইসাইকেল কিক থেকে গোল করে কানাডাকে সমতায় ফেরান কোনে। তারপর প্রথমার্ধে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি কোনো দল।
আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে প্রথমার্ধ শেষ করে বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতি থেকে ফিরে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। তবে কোনো দলই দেখা পাচ্ছিলেন না কাঙ্খিত সেই গোলের। অবশেষে ৮০ মিনিটে গোল পেয়ে যায় কানাডা। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের জোরারো শট কোনো মতে ফিরিয়ে দেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক রোচেত। তবে ফিরতি বল জালে পাঠিয়ে কানাডাকে লিড এনে দেন জোনাথন ডেভিড।
লাতিন আমেরিকায় ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নিজেদের প্রথম আসরেই তৃতীয় হওয়ার পথে ছিল কানাডা। কিন্তু উরুগুয়ের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা সুয়ারেজের কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে গোল করে সমতা ফেরান সুয়ারেজ। দেশের হয়ে অভিজ্ঞ এই ফুটবলারের এটি ছিল ৬৯তম গোল।