আজ ২৫ শে বৈশাখ ১৪৩০। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। ‘হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
‘হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে’ গাওয়ার মাধ্যমে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠান শুরু হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার জীবনকে দেখেছেন অত্যন্ত গভীরভাবে যা তার লেখা কবিতা, গান, ছোটগল্প, প্রবন্ধে ফুটে উঠেছে। তার গান, কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস আমাদের প্রেরণার উৎস। যখন চারপাশে শুধুই অন্ধকার তখন পথের দিশারি হয়ে ওঠেন রবীন্দ্রনাথ।’
তিনি আরো বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ কেবলই কবি বা শিল্পীই ছিলেন না তিনি ছিলেন প্রকৃত দেশপ্রেমিক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মানবকল্যাণ এবং জনগণের উন্নয়ন এর যে দর্শন ছিল তা অনুসরণ করে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত কবিতা আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণ শেষে শিশু একাডেমির শিশুদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী গান, কবিতা এবং নৃত্যের তালে তালে উদযাপিত হয় রবীন্দ্র জয়ন্তী।
এ ছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল। সভাপতিত্ব করেন শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম। শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।