রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে লাগা আগুনের কারণ নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থল থেকে ১৫টির বেশি আলামত সংগ্রহ করে এ তথ্য পেয়েছে সিআইডির ফরেনসিক টিম। গতকাল শনিবার সিআইডি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সিআইডি বলেছে, মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে সিআইডির তদন্তকারীরা একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার সময় ভবনটিতে উপস্থিত থাকা ব্যক্তি বা প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এরই মধ্যে তাঁরা তথ্য পেয়েছেন, আগুন কিভাবে লেগেছিল, কিভাবে ছড়াল, গ্যাস সিলিন্ডার কী অবস্থায় ছিল, বৈদ্যুতিক তার থেকে কিভাবে আগুন ছড়াল, ভবনের রেস্তোরাঁগুলোর রান্নার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা ঘটনার সময় কী ধরনের ভূমিকা রেখেছিলেন। সব মিলে তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে যাচাই করছেন তাঁরা।
সিআইডি আরো বলেছে, ভবনটিতে দ্রুত আগুন ছড়ানোর কারণ জানার চেষ্টা চলছে। তবে বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমেও আগুন দ্রুত ছড়ায় বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের এ পর্যায়ে তারা অনেকটাই নিশ্চিত, নিচতলার চুমুক নামের দোকানের একটি ইলেকট্রিক কেটলি থেকে আগুন লাগে। সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, প্রাথমিক তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।