ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া আজীবন সদস্যপদ বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে ডাকসুর দ্বিতীয় সাধারণ সভায় শেখ হাসিনাকে এই সদস্যপদ প্রদান করা হয়েছিল। এবার ২০২৫ সালের দ্বিতীয় সাধারণ সভায় সেই পদ বাতিলের প্রস্তাব উত্থাপন ও অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডাকসুর বর্তমান নেতৃত্ব।
ডাকসুর সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মহিউদ্দিন খান জানান, “২০১৯ সালে যেভাবে দ্বিতীয় সাধারণ সভায় শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছিল, একইভাবে ২০২৫ সালের দ্বিতীয় সাধারণ সভায় তা বাতিল করা হবে। সব নির্বাচিত প্রতিনিধি এই সিদ্ধান্তে নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন। এখন কেবল আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষা।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে ডাকসুর কার্যক্রম পরিচালনা করছি। নির্বাচনের আগে আমাদের অঙ্গীকার ছিল—সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করব। সেই প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতায় কাজ করছি আমরা।”
এজিএস মহিউদ্দিন খান জানান, ডাকসুর কাজকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে—অস্থায়ী বা তাৎক্ষণিক সেবা সংশ্লিষ্ট কাজ এবং দীর্ঘমেয়াদি নীতিগত পরিবর্তন। তিনি বলেন, “সেবা সংক্রান্ত অনেক কাজ ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে, আরও কিছু শিগগিরই সম্পন্ন হবে। আর নীতিগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কিছু কাজ এখনই বাস্তবায়ন করা সম্ভব না হলেও আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ধীরে ধীরে সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাব।”