স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলো থেকে নিয়মিত ডেঙ্গু রোগীর তথ্য না দিলে তাদের পরীক্ষার অনুমোদন বাতিল করা হবে।
তিনি বলেছেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলো ঠিকমতো তথ্য সরবরাহ করছে না। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় অনেক হাসপাতাল কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দেয়নি, এবং একই জিনিস ডেঙ্গুর ক্ষেত্রেও ঘটছে।ডা. ফ্লোরা বলেন, এই তথ্যের অভাব সংক্রামক রোগের বিস্তার ঠেকানো কঠিন করে তুলছে। সংক্রামক রোগ আইন অনুযায়ী, যেকোনো সংক্রামক রোগ শনাক্ত করলে তা সরকারকে অবিলম্বে জানাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, "এখনো ৩১ শতাংশেরও বেশি যক্ষ্মা রোগী নির্ণয়ের বাইরে রয়েছে, যা খুবই উদ্বেগজনক।" উচ্চবিত্তের মানুষ সর্দি-কাশির জন্য হাসপাতালে যায়, কিন্তু নিম্নবিত্তের মানুষরা কাশির জন্য প্রায়শই ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খায়। এই রোগীদের যক্ষ্মার ঝুঁকিও থাকে, কিন্তু ফার্মেসিগুলো এ বিষয়ে গুরুত্ব দেয় না। ডা. ফ্লোরা বলেন, "ওষুধের দোকানগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আমাদের ভাবতে হবে। এই সেক্টরটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে ৬৯% যক্ষ্মার রোগী শনাক্ত করা গেলেও, আরও ৩১% রোগী নির্ণয়ের বাইরে থেকে যায়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় ঝুঁকি।
ডা. ফ্লোরার এই ঘোষণা বেসরকারি হাসপাতালগুলোর জন্য একটি সতর্কবার্তা। তাদের নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ডেঙ্গু রোগীর তথ্য সরবরাহ করতে হবে, অন্যথায় তাদের পরীক্ষার অনুমোদন বাতিল হতে পারে।