বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাবির ইবনে হাইয়ান (৪র্থ বিজ্ঞান) ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে গিয়ে থামে। সেখানে শিক্ষার্থীরা প্রায় ৩০ মিনিট ধরে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন। এতে সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন—
“কোটা না মেধা, মেধা মেধা”
“কোটার নামে অবিচার, চলবে না চলবে না”
“নবম দশম পরে কর, ইঞ্জিনিয়ার বানান কর”
“ডিব্বাদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও”
“আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই”
এসময় প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত আবু সালেহ বলেন,
“যে দেশ প্রকৌশলীদের মর্যাদা দিতে পারে না, সেই দেশ কখনো উচ্চ শিখরে পৌঁছাতে পারে না। লং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে আমার ভাইদের ওপর পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে আজকের এই কর্মসূচি। আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
আরেক শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হাসান বলেন,
“ঢাকায় আমাদের ভাইদের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ। তাই আজ মহাসড়ক অবরোধ করেছি। অবিলম্বে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে এবং হামলার ন্যায্য বিচার করতে হবে।”
উল্লেখ্য, গত সোমবার প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রংপুর নেসকো কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দেন। পরে সেখানে বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী ও সহকারী প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে ডেকে নিয়ে ডিপ্লোমাধারী কর্মকর্তারা হেনস্তা করেন এবং হত্যার হুমকি দেন। এর প্রতিবাদে বুধবার বুয়েটসহ বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় পুলিশ তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে। এরই ধারাবাহিকতায় রাবি শিক্ষার্থীরা আজকের কর্মসূচি পালন করেন।