হৃতিকের জন্য মরতেও রাজি ছিলেন শ্রদ্ধা কাপুর

প্রকাশকালঃ ২০ মার্চ ২০২৩ ০৩:৩৯ অপরাহ্ণ ৩৪৩ বার পঠিত
হৃতিকের জন্য মরতেও রাজি ছিলেন শ্রদ্ধা কাপুর

প্রায় তিন বছর পর বড় পর্দায় ফিরলেন শ্রদ্ধা কাপুর। ফেরাটা বেশ জুতসই হয়েছে বলা যায়। একদিকে রণবীর কাপুরের সঙ্গে দুরন্ত রোমান্স, অপর দিকে ছবির পরিচালক লাভ রঞ্জন। সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘তু ঝুঠি ম্যায় মক্কার’ ছবিতে এক অন্য রূপে হাজির হয়ে চমকে দিয়েছেন এই বলিউড নায়িকা। ছবিটি বক্স অফিসে ১০০ কোটি রুপির বেশি আয় করেছে। শ্রদ্ধা কাপুরের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় বসেছিলেন প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধির সঙ্গে। 

 

আড্ডার শুরুতে উঠে এল কোভিডের কথা। ওই সময় বড় পর্দাকে কতটা মিস করেছেন? জবাবে শ্রদ্ধা বলেন, ‘ভালো দিক ছিল পরিবারের সবার সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। কিন্তু শুটিং মিস করেছি। আর অবশ্যই অনুরাগীদের মিস করেছি। তাদের সঙ্গে এখন দেখা করে বেশ ভালো লাগছে।’

শ্রদ্ধাকে সব সময় ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যায়। আর ছবিজুড়েই তিনি থাকেন। ‘তু ঝুঠি ম্যায় মক্কার’–এ–ও তাকে রণবীরের সঙ্গে সমানভাবে দেখা গেছে। প্রসঙ্গটা তুলতেই শ্রদ্ধা বলেন, ‘আমি এ ছবিটি করতে আগ্রহী হয়েছিলাম; কারণ, একটি ছেলে ও মেয়েকে ঘিরে গল্প বোনা হয়েছে। আমার কাছে ছবির গল্প আর চরিত্র বেশি প্রাধান্য পায়। কখনো দেখি না ছবির নায়ক, পরিচালক কে বা কোন কোন তারকা আছেন।’ 

 

তাই শ্রদ্ধা স্পষ্ট জানিয়ে দেন এই ছবি করার কারণ মোটেও রণবীর নন। রণবীরের প্রসঙ্গ উঠতে এই বলিউড–কন্যা হেসে বলেন, ‘রণবীরের সঙ্গে শুরু থেকেই কাজ করার লোভ ছিল নিশ্চয়। সব ছবিতেই সে আমাকে মুগ্ধ করে। কিন্তু এত দিনে এই প্রথম আমরা একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব পেলাম। আসলে রণবীর সেটে কীভাবে প্রস্তুতি নেয়, কাছ থেকে দেখার বহু দিনের ইচ্ছা ছিল। এই ছবির সেটে সেই ইচ্ছা পূরণ হলো।’ 

রণবীরের প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘রণবীর অত্যন্ত সহজাত অভিনেতা। এত বড় তারকা হওয়া সত্ত্বেও সেটে তার উপস্থিতি টের পাওয়া যেত না। ছবির সেটে এক কোণে চুপচাপ বসে থাকত। শুটিং শুরুর আগে রণবীর বলত যে তার কোনো সংলাপ মনে নেই। কিন্তু ক্যামেরা অন হতেই গড়গড়িয়ে সংলাপ বলত। আমাকে পুরো বোকা বানাত। আসলে রণবীর বাড়ি থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে সেটে আসত। আর একটা বড় গুণ, সব সময় সময়মতো সেটে আসত রণবীর।’

 

নেট–দুনিয়ায় শ্রদ্ধার জনপ্রিয়তা নজর কাড়ার মতো। এ ব্যাপারে বলিউডের শীর্ষস্থানীয় নায়িকাদের টেক্কা দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গ তুলতেই একটু ভাবুক হয়ে উঠলেন শ্রদ্ধা, ‘অনুরাগীদের সব সময় আমার পাশে পেয়েছি। ছবি হিট হোক বা ফ্লপ, তারা আমাকে ছাড়েননি। তাই তাদের কাছে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। মুঠোফোনে সময় কাটাতে মোটেও ভালোবাসি না কিন্তু ইনস্টাগ্রামে ভক্তদের সঙ্গে সময় কাটাতে দারুণ লাগে। তাঁদের সব মন্তব্য মন দিয়ে পড়ি।’ 

শ্রদ্ধা হাজার হাজার তরুণের ক্রাশ। তার ক্রাশ কে—জানতে চাইলে লাজুক হেসে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই হৃতিক রোশনের প্রতি আমার ভয়ংকর রকমের ক্রাশ। হৃতিকের জন্য মরতেও রাজি ছিলাম। এমনকি আমি হৃতিককে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। আমার ঘরের দেয়ালজুড়ে তার পোস্টার লাগানো থাকত। আমার এসব পাগলামির কথা আমি হৃতিককে বলেছিলাম। ভিডিও করে তাকে সব দেখিয়েছিলাম। হৃতিক বলেছিল, আমাদের একসঙ্গে একটা সিনেমা করা উচিত। জানি না, সেই সুযোগ আমার জীবনে কবে আসবে।’

 

এই আড্ডার শেষবেলায় উঠে আসে শ্রদ্ধার পরিবারের কথা। বলিউডের দাপুটে অভিনেতা শক্তি কাপুরের কন্যা শ্রদ্ধা জানান, ‘জন্ম থেকে মা-বাবার সঙ্গে যে ফ্ল্যাটে থাকতাম, সেই ফ্ল্যাটে এখনো থাকি। আমার ঘরজুড়ে ছড়িয়ে আছে শৈশবের নানা স্মৃতি। বাবা-মা ছাড়া কিছু ভাবতে পারি না। তাঁদের ঋণ কখনো শোধ করা যায় না। বাবা-মাকে ঘিরেই আমার জগৎ।’

 এই তারকা–কন্যা আরও বলেন, ‘বাবা ভোর থেকে রাত অবধি বাড়িটা মাতিয়ে রাখেন। তিনি ভীষণ মজা করতে পারেন। বাবা বাড়িতে না থাকলে আমার ভীষণ মন খারাপ লাগে।’