দ্বিগুণ মজুরি দিয়েও ধান কাটতে শ্রমিক পাচ্ছে না বরগুনার বেতাগীর কৃষকরা

প্রকাশকালঃ ২২ আগu ২০২৩ ০৩:০৮ অপরাহ্ণ ১৯৪ বার পঠিত
দ্বিগুণ মজুরি দিয়েও ধান কাটতে  শ্রমিক পাচ্ছে না বরগুনার বেতাগীর কৃষকরা

পকূলীয় অঞ্চলে মাঠজুড়ে পাকা ধান। চলতি বোরো ও আউশ মৌসুমে ধান কাটতে শ্রমিক সংকটে পড়েছেন বরগুনার বেতাগীর কৃষকরা। দ্বিগুণ মজুরি দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। অনেকে বাধ্য হয়ে পরিবারের লোকজন নিয়ে ধান কাটছেন। অনেকে আবার বাড়তি পারিশ্রমিক দিয়ে ধান কেটে ঘরে তুলছেন। 

এর ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে লোকসান হবে বলে আশঙ্কা কৃষকদের। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর এই উপজেলায় ৯ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ও আউশ ধানের চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সময়মতো পানি ও সার পাওয়ায় এবার ফলনও ভালো হয়েছে।


যার মধ্যে তিন হাজার কৃষকের মাঝে কৃষি প্রণোদনার দেওয়া হয়েছে। এ উপজেলার দুই হাজার কৃষক বোরো ও আউশ ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। জনপ্রতি এক হাজার টাকা মজুরি দিয়েও তারা শ্রমিক পাচ্ছেন না। আবার চুক্তিতে প্রতি শতক ৭০০-৮০০ টাকা করে দিয়েও সময় দিতে হয় কৃষকদের।

উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের জলিশা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব কৃষক আব্দুল বারেক গত বছর দৈনিক জনপ্রতি কৃষককে ৫০০-৭০০ টাকা দিতে হয়েছে। কিন্তু এই ধান কাটার মৌসুমে ৮০০-১০০০ টাকায় মিলছে না শ্রমিক। কেউ কেউ হার্ভেস্টার দিয়ে প্রতি কানি (১২০ শতক) জমির ধান কাটছেন ১০-১২ হাজার টাকায়। 

তাদের আবার খড় নিয়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর আগের তুলনায় অনেক খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। ধানের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে এই ধান সঠিক সময়ে ঘরে তুলতে পারবো কি না সন্দেহে আছি।


উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের কৃষক রতন হাওলাদার বলেন, আমি ৬০ শতক জমিতে বোরো ও আউশ ধান চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। ধান পেকে গেছে শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কেটে বাড়ি তুলতে পারছি না। দ্বিগুণ টাকা দিয়েও শ্রমিক মিলছে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইছা বলেন, এই মৌসুমে উপজেলায় ৯ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ও আউশ ধান উৎপাদন হয়েছে। আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। আমরা বিভিন্ন সময় মাঠ দিবসে কৃষকদের শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে হার্ভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য উদ্বুদ্ধ করছি।